বাংলায় যখন পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে পৌষেও বাড়ছে তাপমাত্রা, আর প্রবল ঠাণ্ডায় কাঁপছে উত্তর ভারত (North India)। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যাওয়ায় উত্তর ভারতের অনেক অংশে প্রবল ঠান্ডা (Cold)। শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। গঙ্গার পাড় সংলগ্ন সমতল এবং মধ্য ও পূর্বাঞ্চলে ঘন কুয়াশার কারণে রেল, যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে।

মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পারদ পতনের কারণে হরিয়ানা, রাজস্থান এবং পাঞ্জাবের অনেক জায়গায় শৈত্য প্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দিল্লি, উত্তর ও মধ্যপ্রদেশের কিছু অংশ প্রবল ঠান্ডায় জুবুথুব। সূর্যের তেজ না থাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল। ‘শৈত্য প্রবাহ’ ঘোষণা করা হয় যখন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নেমে যায় এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৪.৫ থেকে ৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম হয়। একই সময়ে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার নীচে নেমে গেলে শৈত্য প্রবাহ’ হয়।

দিল্লির প্রাথমিক আবহাওয়া কেন্দ্র অনুযায়ী, সফদরজং অবজারভেটরি, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে, যা এই মরসুমের স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ৫ ডিগ্রি কম।
হরিয়ানার আম্বালায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৭.৫ ডিগ্রি কম। পাঞ্জাবের পাতিয়ালায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এই মরসুমের গড় থেকে ৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। রাজস্থানের সিকারে তাপমাত্রা ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে, যা এই মরসুমে স্বাভাবিকের চেয়ে ১০ ডিগ্রি কম। মধ্যপ্রদেশের গুনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১০ ডিগ্রি কম।

মৌসম ভবন জানিয়েছে, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি এবং রাজস্থানের কিছু অংশে আগামী দুই দিন তীব্র ঠান্ডা পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। এর পর ঠান্ডা কমতে শুরু করবে। আগামী দুই দিন উত্তর-পশ্চিম ভারতে ঘন কুয়াশা থাকবে এবং তার পরে তা ধীরে ধীরে কমবে।
আরও পড়ুন-কাঁদলে নাকি শরীর ভাল থাকে! আশ্চর্য দাবি চিকিৎসকদের
