DYFI-এর সমাবেশ থেকে মোদি হটানোর ডাক মীনাক্ষি-সেলিমদের, মাঝ-মাঠে এসে লড়াইয়ের বার্তা

মোদির মিথ্যাচার, ধর্মের নামে ভেদাভেদ, রোটি-কাপড়া-মকানের চাহিদা পূরণ করতে না পারার ব্যর্থতার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন বাম-যুব নেতৃত্ব।

৫০ দিনের ‘ইনসাফ যাত্রা’র পরে রবিবার ব্রিগেডে DYFI-এর সমাবেশ। আর লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে সেই মঞ্চ মোদি সরকারকে হটানোর ডাক দিলেন DYFI-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায় থেকে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। মোদির মিথ্যাচার, ধর্মের নামে ভেদাভেদ, রোটি-কাপড়া-মকানের চাহিদা পূরণ করতে না পারার ব্যর্থতার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন বাম-যুব নেতৃত্ব। সবাইকে মাঠের মাঝখানে এসে লড়াইয়ের ডাক দিলেন বামেদের মুখ মীনাক্ষি।

রবিবারের ব্রিগেডের মঞ্চে DYFI-এর পতাকারও ওপরে ছিল ভারতের জাতীয় পতাকা। সেখান থেকেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরোধিতার সুরটা বাঁধা হয়ে গিয়েছিল বামেদের পক্ষ থেকে। কেন্দ্রের জাত-পাতের ভেদাভেদের নীতিকে কটাক্ষ করে DYFI-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষি মুখার্জী বলেন দিল্লির কাছে ধর্ম ছুঁচোর খুন করা। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের কাছে প্রশ্ন তুলে ধরেন দেশের ‘অ্যাজেন্ডা’ দেশের নাম – ইন্ডিয়া বা ভারত হবে, পোশাক নিয়ে বৈষম্য হবে, কার ফ্রিজে কী খাবার থাকবে সেটা হবে কি না সেটা ঠিক করতে হবে। সেই সঙ্গে কর্মসংস্থান, রুটিরুজিকে মূল অ্যাজেন্ডা বলে মঞ্চ থেকে তুলে ধরেন তিনি। সেই সিস্টেম বদলের লড়াইয়ের ডাক দেন ‘ক্যাপ্টেন’ মীনাক্ষি।

ব্রিগেডের মঞ্চে বক্তব্য রাখা বাম যুব ও সিপিআইএম নেতা সবার গলায়ই কেন্দ্রের বেসরকারিকরণের প্রতিবাদ। প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক আভাস রায়চৌধুরি প্রশ্ন তোলেন ঢালাও বেসরকারিকরণ নিয়ে, যেখানে স্থায়ী শ্রমিকদের ঠিকা শ্রমিক বানানো হচ্ছে। আদানি-আম্বানির হাতে শিক্ষিত বেকারদের মজুর বানানো হচ্ছে। সিপিআইএম রাজ্য় সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বেসরকারিকরণের পাশাপাশি প্রশ্ন তোলেন দেশের সংবিধান, সাংবিধানিক শাসন ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে দেওয়ার নীতি নিয়ে।

পাশাপাশি একশো দিনের কাজের টাকা থেকে বাংলার বঞ্চনা নিয়ে বলতে শোনা যায় বামনেতাদের। আভাস রায়চৌধুরি দাবি করেন বিজেপি সরকার দুবছর ধরে রাজ্যের দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। কিন্তু তাঁদের দিক থেকে এমন কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি যাতে একশো দিনের কাজ করে মানুষ উপার্যন করতে পারে। কারণ বিজেপি চায় এই প্রকল্পই বন্ধ হয়ে যাক। একই সুরে সেলিম অভিযোগ করেন রাজ্যে একশো দিনের কাজ না পেয়ে বাইরের রাজ্যে যাওয়া মানুষের ওপর বুলডোজার চালায় দিল্লির সরকার। ভোটের আগে দেশভক্তির ঢেঁড়া পেটানো বিজেপি লাশ উপহার দেয়, কিন্তু মণিপুরের জাতিদাঙ্গা থামাতে পারে না।

তবে মঞ্চে দাঁড়িয়ে পঞ্চায়েতে ট্রেলার আর লোকসভায় ফাইনাল – এই দাবি তোলা সিপিআইএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের আওয়াজ আদৌ কতটা প্রতিফলিত হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাবে, যখন দেখা গেল ব্রিগেডের ক্যাপ্টেন মীনাক্ষির বক্তৃতা চলাকালীন মাঠ ছাড়লেন অসংখ্য মানুষ। নজরুলের কবিতা আবৃত্তি করতে গিয়ে লাইন ভুলে যাওয়া মীনাক্ষি নিজের ভুল স্বীকার করেন। তাতেও যেন বাম জমানার ৩৪ বছরের ভুল স্বীকারের আভাস। কিন্তু মানুষ সেই ভুলকে ক্ষমা করে লোকসভা ভোটে প্রতিফলন দেখাবেন কী না, তা সময়ই বলবে।

Previous articleভরদুপুরে মুর্শিদাবাদে শুটআউট, মৃত এক তৃণমূল কর্মী
Next articleEntertainment: আলিয়ার সামনেই রশ্মিকাকে ‘চুমু’ রণবীরের!