ব্রিগেডে DYFI-এর সমাবেশের শুরুতে মানতে হল সেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। রবিবার, সমাবেশ শুরু হয় রাজ্য সঙ্গীত “বাংলার মাটি, বাংলার জল” গানটি দিয়ে। উদ্বোধনী সঙ্গীত হিসাবে চাকদার একটি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী যখন এই গানটি শুরু করে, তখন অনেকেই চমকে ওঠেন। কিন্তু এই গানটিই যে এখন প্রাসঙ্গিক সেটা মানতে বাধ্য হল বামেদের যুব সংগঠনও।
লক্ষ্য লোকসভা নির্বাচন। ৫০ দিনের ‘ইনসাফ যাত্রা’র পরে আজ ব্রিগেডে DYFI-এর সমাবেশ শুরু হয়ে গেল। কর্মসূচির শুরুতেই চমক। রাজ্য সঙ্গীত দিয়ে সমাবেশেরে সূচনা হয়। সম্প্রতি এই রবীন্দ্রসঙ্গীতটিকে রাজ্য সঙ্গীত হিসেবে বিবেচিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ১৯০৫ সালে ব্রিটিশের বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে এই গান রচনা করেন রবি ঠাকুর। গানটির সেই ইতিহাসকে মর্যাদা দিয়েই তাকে রাজ্য সঙ্গীতের স্বীকৃতি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেটি যে বাম যুব সংগঠনও মানছে, তার প্রমাণ মিলল DYFI-এর কলকাতা জেলা সম্পাদক পৌলমী মজুমদারের কথায়। তিনি বলেন, “ধর্মীয় বিভাজনের প্রেক্ষাপটে রবীন্দ্রনাথ এই গান লিখেছিলেন। আজকের প্রেক্ষাপটে তা তাৎপর্যপূর্ণ। তাই সেই গান পরিবেশিত হল।“
রবীন্দ্রনাথের “বাংলার মাটি, বাংলার জল” গানটি একেবারে শুদ্ধ রূপেই রাজ্য সঙ্গীতের তকমা পেয়েছে। সম্প্রতি নবান্ন থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তা জানানোও হয়েছে। গণসঙ্গীতের বদলে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক সেই কারণেই রবীন্দ্রসঙ্গীত দিয়েই শুরু হল বাম যুবদের সমাবেশ।