Thursday, August 21, 2025

এক জাতি এক ভোট: বিরোধিতার কারণ জানিয়ে কমিটির সচিবকে কড়া চিঠি মমতার

Date:

এক জাতি এক ভোট: বিরোধিতার কারণ জানিয়ে কেন্দ্রকে করা চিঠি মমতারএক জাতি এক দল- এই এজেন্ডা সামনে রেখে বিরোধীদের মুখ বন্ধের চেষ্টা দীর্ঘদিন ধরেই করছে বিজেপি। এবার তারা ‘এক জাতি এক ভোট’-র ধুঁয়ো তুলেছে। এ বিষয়ে মতামত জানতে চিঠিও দিয়েছিল বিরোধী দলগুলিকে। তারই বিরোধিতা করে কড়া চিঠি লিখলেন তৃণমূল (TMC) সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। স্পষ্ট কারণ ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। প্রথমেই তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘এক জাতি’ বলতে কী বুঝিয়েছে কেন্দ্র! দেশের বহুত্ববাদের উপর বিজেপি আক্রমণ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল।

চিঠিতে তৃণমূল নেত্রী লিখেছেন, ১৯৫০ সালে থেকে কয়েকবার লোকসভা এবং বিধানসভার ভোট একসঙ্গে করা হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে পরে সেই ক্রম ভেঙে যায়। ‘এক ভোট’ বলতে কি দুটো ভোট এক সঙ্গে করার প্রস্তাব দিচ্ছে কেন্দ্র? চিঠি দিতে স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন মমতা (Mamata Bandopadhyay)। লোকসভা ভোটের সঙ্গে দেশজুড়ে বিধানসভা ভোট-সহ অন্যান্য স্থানীয় ভোট করার সমস্যার কথাও চিঠিতে তুলে ধরেন মমতা। এক জাতি এক ভোটরূপায়ণ করতে কেন পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত বিধানসভাকে আগে ভেঙে দেওয়া হবে? কোনও বিধানসভার মেয়াদ নির্ধারিত সময়ের পরেও বৃদ্ধি করা হবে? প্রশ্ন তোলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এ ক্ষেত্রে গণতান্ত্রের উপর মানুষ আস্থা হারাবেন বলে মনে করছেন তিনি।

চিঠির তাঁর আপত্তির ৬টি কারণ জানান তৃণমূল সভানেত্রী। লেখেন, “আমি দুঃখিত যে এক জাতি এক ভোট ধারণার সঙ্গে একমত হতে পারছি না। আমরা এই প্রস্তাবকে সমর্থন করছি না।প্রথমেই এক জাতিধারণাটি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা। তাঁর কথায় যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এদেশে কেন্দ্রীয় সরকার ছাড়াও একাধিক প্রাদেশিক অর্থাৎ রাজ্য সরকার রয়েছে। সেক্ষেত্রে এক দেশবা এক জাতি এই ধারণার অর্থ কী? তৃণমূল সুপ্রিমো লেখেন, “আমি স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে। তাই আমি আপনাদের এই পরিকল্পনারও বিরুদ্ধে।

 

একই সঙ্গে রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে নির্দিষ্ট মেয়াদের আগেই লোকসভা ভেঙে দেওয়া হলে এবং নতুন করে সাধারণ নির্বাচন হলে, বিধানসভার ক্ষেত্রে কী হবে- সেগুলিও কি ভেঙে দেওয়া? প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলের সভানেত্রী।

 

মমতা অভিযোগ করেন, ‘এক জাতি এক ভোটে’র আলোচনায় গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটিতে রাজ্য সরকারগুলির মতামত না নিয়েই কেন্দ্র একতরফা সিদ্ধান্ত বাকিদের জানাচ্ছে বলেও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, বাস্তব পরিস্থিতি প্রকাশ হয়ে যাবে বলেই, কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে উচ্চপর্যায়ের কমিটিতে রাখা হয়নি। নতুন ব্যবস্থা চালু করতে হলে সংবিধান বদলও প্রয়োজন বলে মত মমতার।

Related articles

‘নোরা ফাতেহি’ হতে হবে! স্ত্রীকে জোর করে শরীরচর্চা করিয়ে গর্ভপাত শিক্ষকের

যোগীরাজ্যে স্কুলশিক্ষকের ফ্যান্টাসির চূড়ান্ত নমুনা! স্ত্রীকে হতে হবে রোগা ছিপছিপে চেহারার। আর সেই চেহারা বানাতে গিয়েই স্বামীর নির্মম...

গান-কবিতায় সংসদে সরব তৃণমূল! বয়কট রাজ্যসভার চা-চক্র

বৃহস্পতিবার অধিবেশনের শেষ দিনে সংসদ উত্তাল হল বাংলা গান, কবিতা, বিক্ষোভ, প্রতিবাদে। সংসদের অন্দরে যেমন কালাকানুন, এসআইআর, ভাষাসন্ত্রাসের...

নওশাদ-সহ আইএসএফ সমর্থকদের জামিন দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত

ধর্মতলার কর্মসূচির নামে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা। বুধবার গ্রেফতার করা হয় ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে (Naushad Siddiqui)। বৃহস্পতিবার নওশাদ-সহ...

নোবেল খুঁজতে ব্যর্থ CBI, রাজ্য পুলিশ উদ্ধার করল বুলার পদ্মশ্রী: পুলিশও পদক পাক চান সাঁতারু

হুগলির হিন্দমোটরে সাঁতারু বুলা চৌধুরীর বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া পদক অবশেষে উদ্ধার করল রাজ্য পুলিশ। এর মধ্যে রয়েছে...
Exit mobile version