কলকাতায় এসে নস্টালজিক বিশ্বকাপ জয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড

ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বর্তমান পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। তিনি বলেন, 'আমরা বিশ্বকাপ জেতার পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর বিশ্বকাপ পায়নি। এটা মেনে নেওয়া যায় না।'

কলকাতায় (Kolkata) এসে ইডেন নিয়ে নস্টালজিক ১৯৭৫ আর ১৯৭৯ সালে বিশ্বকাপ জয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ (West Indies) অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড (Clive Lloyd)। বৃহস্পতিবার অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটির (Adamas University) অনুষ্ঠানে লয়েড জানালেন, কলকাতার মানুষ খুব ক্রীড়াপ্রেমী। সেটা ফুটবল হোক বা ক্রিকেট। খেলাকে এখানে সবাই খুব ভালোবাসে। আমরা যখন ইডেন থেকে খেলে ফিরতাম তখন রাস্তার দুই ধারে অনেক মানুষ আমাদের দেখার জন্য দাঁড়িয়ে থাকতেন। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সম্পর্কে এদিন তিনি বলেন, সৌরভ দারুণ একজন ক্রিকেটার, সেইসঙ্গে ভালো অধিনায়কও। সৌরভ শহরে নেই। তবে ওর সঙ্গে কথা হয়েছে। ও এখন দক্ষিণ আফ্রিকায় আছে। ইংল্যান্ডে গেলে ওর সঙ্গে দেখা করব। এক প্রশ্নের উত্তরে ভারতীয় ক্রিকেট দল নিয়ে তিনি বলেন , ভারতীয় ক্রিকেট দল একদিনের ক্রিকেটে একটা অন্য উচ্চতায় উঠছে। ধারাবাহিক ভালো পারফরম্যান্স করছে। সেইসঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বর্তমান পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বকাপ জেতার পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর বিশ্বকাপ পায়নি। এটা মেনে নেওয়া যায় না।’

প্রসঙ্গত, ১৯৮৩ বিশ্বকাপে এই লয়েডের নেতৃত্বাধীন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েই প্রথম বিশ্বকাপ জেতে কপিলদেবের ভারত। ক্লাইভ লয়েড টেস্টে সর্বাধিক রানের নিরিখে নিজের কেরিয়ারের চতুর্থ সর্বোচ্চ রানটা তোলেন এই ইডেনেই। ১৯৮৩ সালে কলকাতায় ২৯০ বল খেলে ১৬১ রানে অপরাজিত ইনিংস খেলেন এই কিংবদন্তি ক্যারিবিয়ান।

বিশ্ব জুড়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের রমরমা। সেই প্রসঙ্গে লয়েডের উত্তর, ‘টি-২০ ক্রিকেট হল এক্সিবিশন। আর টেস্ট ক্রিকেট হল এক্সামিনেশন। মাঠের বাইরে বল পাঠানো সহজ। ইংল্যান্ডের আবহাওয়ায় গিয়ে লাল বলে টেস্ট ক্রিকেট খেলা কঠিন। তাই আমি বলব ওখানে গিয়েই ক্রিকেট শিখে আসতে।’

 


Previous article‘বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য’, একই পাথরে তাজমহল ও রামমন্দির
Next articleপাকিস্তানে মৃত হাফিজের ডেপুটি ২৬/১১-এর অন্যতম ষড়যন্ত্রী ভুট্টভি