‘বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য’, একই পাথরে তাজমহল ও রামমন্দির

অযোধ্যায় মন্দির উদ্বোধনের উৎসবে তাই যেন জুড়ে গেল রামমন্দির আর তাজমহল।

ভারতবর্ষ চিরকাল বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের প্রতীক। এই ঐক্যের জোরেই এখানে বলা যায় – ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। অযোধ্যায় মন্দির উদ্বোধনের উৎসবে তাই যেন জুড়ে গেল রামমন্দির আর তাজমহল (Taj Mahal)। দুই স্থাপত্যেই একই মার্বেলের মিশেল দর্শকদের জন্য খুলে যাবে এমাসের শেষেই।

ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মার্বেল পাথরের খনি রাজস্থানের মাক্রানা (Makrana)। জিআই ট্য়াগ (Geological Indicator) প্রাপ্ত এই মার্বেল খনি দেশকে প্রায় দুশো বছর ধরে মার্বেল সরবরাহ করার ঐতিহ্য বহন করছে। শুধু দেশে নয়, বিদেশেও এর খ্যাতি ছড়িয়ে রয়েছে। আর বিশেষ শিল্প তৈরিতে শিল্পীর নজর যে এই শুভ্র পাথরের ওপর পড়বে তাতে তো সন্দেহই নেই – তা সে তাজমহল নির্মাতাই হোক বা রামমন্দিরের স্থপতি।

তাজমহল তৈরির সময় শাহজাহান ভারতের সব প্রসিদ্ধ জায়গা থেকে পাথর, শিল্পী ও কারিগর এনেছিলেন। ভারতের বাইরের কারিগর ও পাথরের অস্তিত্বও রয়েছে পৃথিবীর সাত আশ্চর্যের এই স্থাপত্যে। সেই স্থপতি মাক্রানার পাথর সংগ্রহ করবেন না এ তো হতেই পারে না। তাজমহলের বাইরের সাদা পাথরের কাঠামো এই মাক্রানা মার্বেলে তৈরি। এই পাথরের নমনীয়তার জন্যই একে তাজমহলের শোভা বাড়াতে ব্যবহার করা হয়।

এবার অযোধ্যার (Ayodhya) রামমন্দির তৈরিতেও ব্যবহার করা হচ্ছে মাক্রানা মার্বেল। এই মন্দিরের সূক্ষ্ণ কারুকাজের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে এই বিশেষ নমনীয় মার্বেল। মাক্রানা এলাকায় প্রায় ৪০০ খনি থেকে এই পাথর তোলার কাজ চলে সারা বছর জুড়ে। প্রতি বছর প্রায় ১২০ হাজার টন মার্বেল পাথর এখান দেশে বিদেশে সরবরাহ হয়ে থাকে। সেই মার্বেলে শোভিত হবে রামমন্দির, যেভাবে দেশের অন্যতম স্থাপত্য তথা অহংকার তাজমহলে ব্যবহার হয়েছিল মাক্রানা মার্বেলে।

Previous articleমেট্রো সফরে চালু নয়া নিয়ম, বাতিল হতে পারে টোকেন!
Next articleকলকাতায় এসে নস্টালজিক বিশ্বকাপ জয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড