ঐতিহ্যবাহী টাকি হাউজ বয়েজ স্কুলের (Taki House Boy’s School) প্রাক্তনীদের সংগঠন টিব্যাকের কার্নিভাল শুরু হয়ে গেল সড়ম্বরে। শুক্রবার স্বামী বিবেকানন্দর জন্মদিনে অনুষ্ঠান শুরু হল স্কুল প্রাঙ্গণে। তিনদিন ধরে চলবে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রতিযোগিতা। আর তার সঙ্গে রয়েছে তিনধরনের মেলা- বইমেলা, হস্তশিল্পমেলা এবং খাদ্যমেলা।
এদিন, ১৬ তম টিব্যাক কার্নিভালের উদ্বোধন করেন টাকি স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র বিশিষ্ট সাংবাদিক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh), টাকি বয়েজ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা স্বাগতা বসাক, প্রাক্তন সভাপতি শান্তনু শাহ ও প্রাক্তন সভাপতি গৌতমকুমার নাগ, পার্থসারথি সাহা ও সাংবাদিক অভিজিৎ ঘোষ। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। সংক্ষিপ্ত ভাষণে কুণাল ঘোষ বলেন, স্কুল থেকে পাশ করে গেলেও টাকি হাউসের ছাত্ররা স্কুলকে ভোলে না। সেই কারণেই প্রাক্তনীদের সংগঠন একত্রিত হয়ে এই ধরনের অনুষ্ঠান করতে পারে। নব প্রজন্মের কাছে তাঁর বার্তা, “স্কুল ছেড়ে গেলেও স্কুলকে ভুলো না।”
এরপর সাংবাদিক তথা সুগায়ক অভিজিৎ ঘোষের গানের অনুষ্ঠান শুরু হয়। একই সঙ্গে চলে স্কুলের ছাত্রদের বসে আঁকা প্রতিযোগিতা। নতুন-পুরনো মিলিয়ে একের পর এক গান গেয়ে আসর জমিয়ে দেন অভিজিৎ। তাঁর গাওয়া, “ভালো আছি ভালো থেকো” কিংবা “বেলা বোস”-এর সঙ্গে গলা মেলান দর্শকরাও। সবমিলিয়ে জমে ওঠে সংগীতানুষ্ঠান।
তারপর ছাত্রদের অন্ত্যক্ষরী প্রতিযোগিতা হয়। তারপরে হয় ‘বেস্ট কাপল’ প্রতিযোগিতা। টাকি হাউস গার্লসের ছাত্রীরাও অনুষ্ঠান করেন সবশেষে ফ্যাশন শো। স্কুল প্রাঙ্গনে ছিল বইমেলায় খুদেদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। আজকের প্রজন্মও যে বই পড়ে তা প্রমাণ করে দিল এই ছোট্ট বইমেলা।
খাবারের স্টলে কেক, পেস্ট্রি, চকোলেট, আইসক্রিমের পাশাপাশি রয়েছে পিঠে-পুলি, জয়নগরের মোয়া। স্কুলেরই এক প্রাক্তনী স্টল দিয়েছেন খাবারের। যত্ন করে নিজের স্কুলের পরবর্তী প্রজন্মকে খাওয়াচ্ছেন তিনি। রয়েছে শান্তিনিকেতন থেকে আসা দোকানিদের কাঁথা স্টিচ-সহ বিভিন্ন পোশাকের পসরা। সবমিলিয়ে প্রথমদিনই জমে উঠেছে টিব্যাক কার্নিভাল।