Friday, December 19, 2025

আজ কী ঘটেছিল?

Date:

Share post:

১৮৬৩ স্বামী বিবেকানন্দ (১৮৬৩ – ১৯০২) এদিন কলকাতায় সিমলা অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। এক কথায় তিনি শিবসাধক, বৈদান্তিক সন্ন্যাসী। তাঁর বেদান্ত খুব সহজ, সরল। দেবতাকে থাকতে হলে এই জগতেই থাকতে হবে। বস্তুত তিনি জগতেই আছেন, প্রতিটি জীবে, প্রতিটি ধূলিকণায়— জীবই শিব। এই ‘শিবত্ব’ই জগতের সব কিছুকে যুক্ত করেছে অচ্ছেদ্য বন্ধনে, বহুরূপে সম্মুখে তোমার, সেই দেবতাকে ছেড়ে অন্য কোথায় ঈশ্বরকে খুঁজে বেড়াও! শিবের অন্বেষণ জীবের ভিতরেই করতে হবে। মানুষের জন্য যে কাজ, সে কাজ এই শিবত্ববোধে করলে কোনও জীবিকাই শাসন, শোষণ, বঞ্চনার মধ্যে সাধিত হতে পারে না। আপাতত এই দেশে স্বামী বিবেকানন্দকে নিয়ে টানাটানি চতুর্দিকে। উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা বিবেকানন্দকে তাঁদের দলের লোক বলে প্রমাণ করার জন্য সদা সচেষ্ট। বিবেকানন্দের মূর্তি প্রয়োজন ও সুযোগমতো প্রতিষ্ঠা করে তাঁরা ঘোষণা করতে ব্যস্ত যে, বিবেকানন্দের গৈরিক বস্ত্রের সঙ্গে তাঁদের গৈরিকীকরণযজ্ঞের গভীর যোগ রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বাংলাভাষী মানুষের আবেগকে উসকে তোলার জন্য বিবেকানন্দের ছদ্ম-মুখোশে মুখ ঢাকতে চাওয়া ও বিবেকানন্দের ছদ্মঢাল সামনে রাখার কার্যক্রম ইদানীং সর্বত্র চোখে পড়ে। বিবেকানন্দের আদর্শের সঙ্গে প্রকৃত সম্পর্কবিহীন এই রাজনৈতিক কৌশল— নিতান্তই ভোটপন্থী চাতুর্য। বিবেকানন্দের প্রয়াণের পর তাঁর বাণী ইংরেজ সরকারের কাছে মুচলেকা দেওয়া হিন্দুত্ববাদীদের নয়, দেশব্রতী কর্মযোগীদের উদ্বুদ্ধ করেছিল। সেকথা সর্বতোভাবে মনে রাখা দরকার।

প্রদ্যোতকুমার ভট্টাচার্য (১৯১৩-১৯৩৩)-এর এদিন ডগলাস হত্যা মামলার বিচারে ফাঁসি হয়। ফাঁসির আগের দিন তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন রাজবন্দি কৃষ্ণলাল চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে কানে কানে জানতে চেয়েছিলেন, ‘ভাই, কাউকে কিছু বলবার আছে কি?’ এর উত্তরে প্রদ্যোত বলেছিলেন, ‘আমার প্রতিটি রক্তবিন্দুতে যেন একটি করে শহিদ তৈরি হয়।’ আর জেল থেকে মাকে চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘মা তোমার প্রদ্যোত কি কখনও মরতে পারে? আজ চারিদিকে চেয়ে দেখো, লক্ষ লক্ষ প্রদ্যোত তোমার দিকে চেয়ে হাসছে। আমি বেঁচেই রইলাম, মা অক্ষয় অমর হয়ে— বন্দে মাতরম্…।’

১৯৩৪ জালালাবাদের পাহাড়ে ব্রিটিশদের সঙ্গে যুদ্ধ করার অপরাধে সূর্য সেন ও তাঁর সহযোগী তারকেশ্বর দস্তিদারকে ফাঁসি দেওয়া হয়। ফাঁসির দিন প্রায় পঞ্চাশ জন পুলিশ নিযুক্ত করা হয়েছিল কারাগারের ফটকের সামনে। ফাঁসির পরে একটি ট্রাকে করে সূর্য সেন ও তাঁর বিপ্লবী সাথী তারকেশ্বর দস্তিদারের মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় চার নম্বর জেটির কাছে। সেখানে তখন একটি জলযান নিয়ে হাজির আরও কিছু সশস্ত্রবাহিনী ও অফিসারের দল। জলযানে তুলে দেহ দু’টি বঙ্গোপসাগরের দিকে যাত্রা শুরু করলে কয়েক জন ব্রিটিশ মৃতদেহ দু’টিতে পদাঘাত করতে শুরু করে। এই অমানবিক দৃশ্যে সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে ব্রিটিশরা নিবৃত্ত হয়। দেহ দু’টিকে পৃথক ভাবে লোহার দড়ি দিয়ে বেঁধে ছুঁড়ে ফেলা হয় বঙ্গোপসাগরের অতলে।

২০০৫ অমরেশ পুরী (১৯৩২- ২০০৫) এদিন মারা যান। অভিনয় শুরু করলেন পৃথ্বী থিয়েটারে। ক্রমে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি মঞ্চজগতে পরিচিত হয়ে উঠলেন। স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৯ সালে এল সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার। সত্তরের দশকেই বিজ্ঞাপনের ছবি হয়ে অবশেষে সিনেমায় অভিনয়। তখন জীবনের চল্লিশটা বসন্ত পেরিয়ে গিয়েছে। সত্তরের দশকে তিনি মূল খলনায়কের সহকারীর ভূমিকায় অভিনয় করতেন। তার পর থেকে ক্রমে তিনি-ই হয়ে ওঠেন এক ও অদ্বিতীয় খলনায়ক। মূল খলনায়ক হিসেবে তিনি প্রথম নজর কাড়েন ১৯৮০ সালের ছবি ‘হম পাঁচ’-এ। হলিউডে রিচার্ড অ্যাটেনবোর-র ‘গান্ধী ’ এবং স্টিভেন স্পিলবার্গের ‘ইন্ডিয়ানা জোনস অ্যান্ড দ্য টেম্পল অব ডুম’ অমরীশের মুকুটে নতুন পালক যোগ করে।

১৯১৩ ধীরেন্দ্রলাল ধর ( ১৯১৩-১৯৯১) জন্মগ্রহণ করেন। প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক। শিশুসাহিত্যের জন্যে ১৯৭৯-এ ভারত সরকার তাঁকে জাতীয় পুরস্কার প্রদান করে। ‘মৃত্যুর পশ্চাতে’, ‘গল্প হলেও সত্যি’, ‘আমার দেশের মানুষ’, ‘মহাকালের পূজারী’, ‘পশ্চিম দিগন্তে, বিপদের বেড়াজাল’, ‘সিপাহী যুদ্ধের কাহিনী’, ‘অসি বাজে ঝনঝন’, ‘এই দেশেরই মেয়ে’ প্রভৃতি তাঁর লেখা বিখ্যাত গ্রন্থাবলি।

১৮৮৬ নেলি সেনগুপ্ত (১৮৮৬-১৯৭৩ ) ইংল্যান্ডের কেমব্রিজে জন্মগ্রহণ করেন। বাবার নাম ফ্রেডারিক গ্রে, মায়ের নাম এডিথ হেনরিয়েটা গ্রে। দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তর সঙ্গে বিয়ে হয়। স্বামীর আদর্শে প্রভাবিত হয়ে রাজনীতিতে যোগ দেন। মদনমোহন মালব্যর পর জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হন।

spot_img

Related articles

আমেরিকার আকাশে বিমান দুর্ঘটনা,উত্তর ক্যারোলিনায় প্রাইভেট জেট ভেঙে মৃত অন্তত ৭

মার্কিন আকাশ পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনা (US plane crash)। উত্তর ক্যারোলিনায় (North Carolina) ভেঙে পড়ল একটি প্রাইভেট জেট। উড়ানের...

গায়ের জোরে ‘জি রাম জি’ পাশ, MGNREGA-র হত্যা! সংসদ ভবনের সিঁড়িতে রাতভর ধর্নায় তৃণমূল সাংসদরা

ব্যাপক ঠান্ডা দিল্লিতে (Delhi)। এর মধ্যেই ‘জি রাম জি’ বিলের বিরোধিতায় পুরোনো সংসদ ভবনের সিঁড়িতে রাতভর ধর্নায় তৃণমূল...

শীতের স্পেলে ব্রেক, বড়দিনের আগে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ার সম্ভাবনা কম 

বছরের শেষ মাসের শুরুর দিকে লম্বা ইনিংস খেলার আশা জাগিয়েও ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে খানিকটা হাঁপিয়ে উঠেছে শীত (Winter), অন্তত...

বাংলাদেশে ভারতীয় উপদূতাবাসে হামলা! চিন্তা বাড়ছে নয়াদিল্লির 

ফের উত্তপ্ত প্রতিবেশী রাষ্ট্র। বাংলাদেশের দুই সংবাদপত্রের দফতরে ভাঙচুর আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনার পর হামলা চট্টগ্রামের ভারতীয় উপদূতাবাসে...