গতানুগতিক প্রাত্যহিকতার বাইরে বেথুন কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষিকা সম্মিলনী ‘একাল-সেকাল’

শিক্ষাব্রতের ১৭৫ বছর ধরে নিরলস ভাবে মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে বেথুন কলেজিয়েট স্কুলকে (Bethune Collegiate School) সমৃদ্ধ করেছেন শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীসহ স্কুলের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেক গুণীজন। সময়ের পথ পেরিয়ে আজ অনেকেই চলে গেছেন না ফেরার দেশে। তবে অনেকেই আছেন যাঁরা এই স্কুলের ছাত্রীদের মধ্যে নিজের কন্যাসন্তানকে খুঁজে পেয়েছেন, স্নেহ-মমতায় শিক্ষার্থীদের আদর্শ মানুষ করে তুলেছেন। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা সম্মান ও ভালবাসা উজাড় করে দিতে ১৩ জানুয়ারি আয়োজিত হল বেথুন কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষিকা সম্মিলনী ‘একাল-সেকাল'(Ekal Sekal)।

গতানুগতিকতার বাইরে গিয়ে প্রাক্তন বর্তমান সকলের উপস্থিতিতে সুজন থেকে সজন হয়ে ওঠার মেলবন্ধনের সাক্ষী থাকলো মিনার্ভা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মনোবিদ ডঃ নীলাঞ্জনা সান্যাল (Nilanjana Sanyal)। ঐতিহ্যময় শিক্ষাঙ্গনের ১৭৫ বছরের যাত্রায় শিক্ষিকাদের ভূমিকা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তাই একদিকে তাঁদের যেমন সম্মানিত করা হলো, ঠিক তেমনই শিক্ষাকর্মীদেরও আত্মিক বন্ধনে আবদ্ধ করল স্কুল।

 

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সকলের অংশগ্রহণ সমৃদ্ধ করল অসাধারণ এই উদ্যোগকে। প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষিকা, শিক্ষা কর্মীদের চোখে মুখে এক দারুণ পরিতৃপ্তির হাসি যেন উপলব্ধি করলেন সকলেই। এই অনুষ্ঠানে পরিবেশিত নৃত্য গীতিনাট্য ‘আনন্দধারা’ মিনার্ভা থেকে অচিরেই যেন স্পর্শ করল বেথুন কলেজিয়েট স্কুলের প্রতিটি অংশকে। বলে উঠলো, ” আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি”।

Previous articleভূস্বর্গে মৃত বাংলার জওয়ান! মৃত্যুর কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা
Next articleহাওড়ায় পদ্ম-নেতার পারিবারিক গাঁজা চাষ! ‘গাঁজাখোর’ BJP-কে ধুয়ে দিলেন কুণাল-দেবাংশু