Thursday, November 6, 2025

আমি গাঁজার ব্যবসা করি বিজেপি জানতো,দলই ফাঁসিয়েছে: বিস্ফোরক ধৃত নিমাই

Date:

শনিবারই হাওড়ার সাঁকরাইলে এক বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়িতে হানা দিয়ে বিপুল পরিমাণে গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই বাড়ির পাশে টালির ঘরে প্যাকেট-প্যাকেট গাঁজা উদ্ধারে চোখ কপালে ওঠে দুঁদে পুলিশ কর্তাদেরও। তারপরেই ওই বিজেপি নেত্রীর স্বামীকে আটক করে পুলিশ। ওই বাড়ি থেকে ৪১ কেজিরও বেশি গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। ধৃত বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষদের ছবি প্রকাশ করে সরব হয়েছিল তৃণমূল। এবার খোদ ধৃত বললেন, ‘দলের লোকেরাই আমাকে ফাঁসিয়েছে। আমি গাঁজার ব্যবসা করি সেকথা বিজেপির নেতারা জানতেন। তাঁদের জানিয়েই আমি দীর্ঘদিন ধরে গাঁজার ব্যবসা করতা। আমি বিজেপির কিষাণ মোর্চার হাওড়া সদরের সহ সভাপতি। অন্য কেউ নয়, দলের লোকেরাই আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসালো।’ সাঁকরাইলের কান্দুয়ায় বিজেপি সদস্যা রূপা রায়ের বাড়ি থেকে গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় ধৃত রূপার স্বামী নিমাই রায় সরাসারি এমনটাই অভিযোগ তুললেন।

এদিকে, গাঁজা মজুতের দায়ে ধৃত বিজেপি নেতা নিমাই রায়ের সঙ্গে একাধিক সময়ে বিজেপির তাবড় নেতাদের একই ছবিতে দেখা গিয়েছে। তৃণমূলের তরফে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষদের সঙ্গে নিমাই রায়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে। তা নিয়েই হইচই পড়ে গিয়েছে। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ রবিবার বলেন, গাঁজা ব্যবসায়ীর সঙ্গে যেসব নেতাদের ছবি দেখা গিয়েছে, তাদের প্রত্যেককে গ্রেফতার করতে হবে।

এদিন ধৃত নিমাই ও তার দুই সাকরেদ সত্যদেও সাহানি ও আনোয়ারা বেগমকে হাওড়া আদালতে পেশ করা হয়। ধৃত তিন জনের বিরুদ্ধেই মাদক-বিরোধী একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। হাওড়া আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিসস্ট্রেট ধৃত তিনজনের জামিনের আবেদন খারিজ করে একদিনের জন্য জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। সোমবার এনডিপিএস কোর্টে এই মামলার শুনানি হবে।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওডিশা থেকে ওই গাঁজা এই রাজ্যে পাচারের জন্য আনা হয়েছিল। নিমাইয়ের সঙ্গে ধৃত বাকি দুই উলুবেড়িয়ার চেঙ্গাইলের বাসিন্দা সত্যদেও সাহানি ও আনোয়ারা বেগম ওই গাঁজা নিমাইয়ের বাড়িতে নিয়ে এসেছিল। এলাকায় শাক-সবজি বিক্রি করার নাম করে এসে ওই গাঁজা পাচার করতো আনোয়ারা ও সত্যদেওরা। এই গাঁজা নিমাইয়ের বাড়ি থেকে কলকাতা ও হুগলিতে ছড়িয়ে দেওয়া হত।

নিমাইয়ের স্ত্রী কান্দুয়া পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্যা রুপা রায় জানান, ‘আমার স্বামী টোটো চালাতো। কি করে এই ঘটনা ঘটল কিছুই বুঝতে পারছি না।’উল্লেখ্য, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সাঁকরাইলের নবঘড়া সরদার পাড়ায় হানা দিয়েছিল গোয়েন্দা বিভাগ ও সাঁকরাইল থানার পুলিশ। বিজেপি পঞ্চয়েত সদস্যা রূপা রায়ের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। রূপার স্বামী নিতাই রায় এলাকায় বিজেপি নেতা বলেই পরিচিত। গাঁজা মজুতের অভিযোগে বিজেপি নেত্রীর স্বামী-সহ মোট ৩ জনকে পুলিশ আটক করে।

 

 

Related articles

KIFF: সিনেপার্বণের সূচনায় আজ শহরে নক্ষত্র সমাবেশ, বিকেলে ফিল্মোৎসবের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী

রুপোলি সিনেমা শহরে দিল পা, বছর ঘুরে আবার এল কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (31st Kolkata International Film Festival...

সুপ্রিম নির্দেশে রাজ্যে ফের শুরু ১০০ দিনের কাজ, নবান্নে তৎপরতা তুঙ্গে 

প্রায় তিন বছর পর ফের রাজ্যে শুরু হতে চলেছে কেন্দ্রীয় ১০০ দিনের কাজ (এমজিএনআরইজিএ) প্রকল্প। সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা...

রাত পোহালে প্রথম দফার নির্বাচন বিহারে: হিংসা ঠেকানোই চ্যালেঞ্জ

নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে পরপর খুন। রাজনৈতিক নেতা থেকে সমর্থক। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে তাই শান্তি বজায় রাখাই চ্যালেঞ্জ...

বাংলা কথায় দক্ষতা, কোন পদে পান তৃপ্তি? দীপ্তিকে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি খুললেন ‘অভিভাবক’ মিঠু

সন্দীপ সুর বাংলার প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপ জিতেছেন রিচা ঘোষ কিন্তু ভারতীয় দলের আরও এক ক্রিকেটারের সঙ্গে...
Exit mobile version