Friday, November 7, 2025

আমি গাঁজার ব্যবসা করি বিজেপি জানতো,দলই ফাঁসিয়েছে: বিস্ফোরক ধৃত নিমাই

Date:

শনিবারই হাওড়ার সাঁকরাইলে এক বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়িতে হানা দিয়ে বিপুল পরিমাণে গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই বাড়ির পাশে টালির ঘরে প্যাকেট-প্যাকেট গাঁজা উদ্ধারে চোখ কপালে ওঠে দুঁদে পুলিশ কর্তাদেরও। তারপরেই ওই বিজেপি নেত্রীর স্বামীকে আটক করে পুলিশ। ওই বাড়ি থেকে ৪১ কেজিরও বেশি গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। ধৃত বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষদের ছবি প্রকাশ করে সরব হয়েছিল তৃণমূল। এবার খোদ ধৃত বললেন, ‘দলের লোকেরাই আমাকে ফাঁসিয়েছে। আমি গাঁজার ব্যবসা করি সেকথা বিজেপির নেতারা জানতেন। তাঁদের জানিয়েই আমি দীর্ঘদিন ধরে গাঁজার ব্যবসা করতা। আমি বিজেপির কিষাণ মোর্চার হাওড়া সদরের সহ সভাপতি। অন্য কেউ নয়, দলের লোকেরাই আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসালো।’ সাঁকরাইলের কান্দুয়ায় বিজেপি সদস্যা রূপা রায়ের বাড়ি থেকে গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় ধৃত রূপার স্বামী নিমাই রায় সরাসারি এমনটাই অভিযোগ তুললেন।

এদিকে, গাঁজা মজুতের দায়ে ধৃত বিজেপি নেতা নিমাই রায়ের সঙ্গে একাধিক সময়ে বিজেপির তাবড় নেতাদের একই ছবিতে দেখা গিয়েছে। তৃণমূলের তরফে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষদের সঙ্গে নিমাই রায়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে। তা নিয়েই হইচই পড়ে গিয়েছে। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ রবিবার বলেন, গাঁজা ব্যবসায়ীর সঙ্গে যেসব নেতাদের ছবি দেখা গিয়েছে, তাদের প্রত্যেককে গ্রেফতার করতে হবে।

এদিন ধৃত নিমাই ও তার দুই সাকরেদ সত্যদেও সাহানি ও আনোয়ারা বেগমকে হাওড়া আদালতে পেশ করা হয়। ধৃত তিন জনের বিরুদ্ধেই মাদক-বিরোধী একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। হাওড়া আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিসস্ট্রেট ধৃত তিনজনের জামিনের আবেদন খারিজ করে একদিনের জন্য জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। সোমবার এনডিপিএস কোর্টে এই মামলার শুনানি হবে।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওডিশা থেকে ওই গাঁজা এই রাজ্যে পাচারের জন্য আনা হয়েছিল। নিমাইয়ের সঙ্গে ধৃত বাকি দুই উলুবেড়িয়ার চেঙ্গাইলের বাসিন্দা সত্যদেও সাহানি ও আনোয়ারা বেগম ওই গাঁজা নিমাইয়ের বাড়িতে নিয়ে এসেছিল। এলাকায় শাক-সবজি বিক্রি করার নাম করে এসে ওই গাঁজা পাচার করতো আনোয়ারা ও সত্যদেওরা। এই গাঁজা নিমাইয়ের বাড়ি থেকে কলকাতা ও হুগলিতে ছড়িয়ে দেওয়া হত।

নিমাইয়ের স্ত্রী কান্দুয়া পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্যা রুপা রায় জানান, ‘আমার স্বামী টোটো চালাতো। কি করে এই ঘটনা ঘটল কিছুই বুঝতে পারছি না।’উল্লেখ্য, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সাঁকরাইলের নবঘড়া সরদার পাড়ায় হানা দিয়েছিল গোয়েন্দা বিভাগ ও সাঁকরাইল থানার পুলিশ। বিজেপি পঞ্চয়েত সদস্যা রূপা রায়ের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। রূপার স্বামী নিতাই রায় এলাকায় বিজেপি নেতা বলেই পরিচিত। গাঁজা মজুতের অভিযোগে বিজেপি নেত্রীর স্বামী-সহ মোট ৩ জনকে পুলিশ আটক করে।

 

 

Related articles

চিংড়িঘাটা মোড়ে যানজট কমাতে নতুন সেতু নির্মাণের উদ্যোগ কেএমডিএ-র

ইএম বাইপাসের চিংড়িঘাটা মোড়ে দীর্ঘদিনের যানজট সমস্যার সমাধানে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেএমডিএ। শান্তিনগর খালের উপর বর্তমান সরু...

নামের বানানভুল থেকে ডিটেনশন আতঙ্ক! এসআইআর আতঙ্কে মানসিক চাপে সাঁইথিয়ায় মৃত্যু বৃদ্ধের

ইলামবাজারের ঘটনার পর ফের এসআইআর আতঙ্কে মৃত্যু বীরভূমে। হৃদরোগে প্রয়াত হলেন সাঁইথিয়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিমান...

বিহারে প্রথম দফায় অতিরিক্ত ভোটদানে নতুন সমীকরণ! চিন্তায় শাসক শিবির

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোটদানের হার নিয়ে রাজনৈতিক চর্চা তুঙ্গে। বৃহস্পতিবার ১২১টি আসনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। নির্বাচনী...

JNU-তে ফের বাম জোটের জয়জয়কার, খাতা খুলতে পারল না ABVP

ফের দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ভোটে (JNU Students' Union Elections) খাতা খুলতে পারল না এবিভিপি। JNU ছাত্র...
Exit mobile version