কোপাইয়ের বুকে অবৈধ নির্মাণ! অভিযোগ পেয়েই তৎপর বীরভূম প্রশাসন। নিজে গিয়ে এলাকা পরিদর্শন করবেন বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক বিধান রায় (Bidhan Ray)। শান্তিনিকেতনে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindranat Thakur) অতি প্রিয় কোপাই নদী বেদখল হয়ে যাচ্ছে। অভিযোগ, গোয়ালপাড়ার কাছে কোপাই (Kopai) নদীর বুকে কংক্রিটের পিলার বসছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩৮টি বড় কংক্রিটের পিলার গেঁথে দেওয়া হয়েছে। তোলা হয়েছে ইটের বড় পাঁচিল। কিন্তু প্রশাসনের কোনও অনুমতি নেই।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, নদীর তীর চারণভূমি। নদী তীরের ৫০০ মিটার পর্যন্ত কোনও নির্মাণ করা যায় না৷ অথচ কোপাইয়ের তীরেই শুধু নয়, নদীবক্ষও দখল করে নির্মাণ শুরু হয়ে গিয়েছে। শান্তিনিকেতনে কোপাই শুধু নদী নয়, সে ছিল কবিগুরুর প্রতিবেশি, সহচর। কোপাই বাঁচাতে তৎপর হন স্থানীয়রা। বিশ্বভারতীর অধ্যাপকেরা কোপাই (Kopai) নদীর পাড়েই ধর্নায় বসেন। “আমাদের প্রতিবেশিনী কোপাই, তাকে বাঁচাতে সবাই” – এই ব্যানার নিয়ে আন্দোলন করেন তাঁরা। সপরিবারে উপস্থিত হন অধ্যাপক তড়িৎ রায়চৌধুরী, বিশ্বভারতীর ভূগোল বিভাগের অধ্যাপক মলয় মুখোপাধ্যায়, কিশোর ভট্টাচার্য। খোয়াই সাহিত্য সংস্কৃতি সমিতির পক্ষ থেকেও শাতাধিক অধ্যাপক সমবেত হয়ে সই সংগ্রহের কাজ শুরু করেন।
এই অভিযোগ কানে যেতেই তৎপর হন জেলাশাসক। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ভূমি রাজস্ব দফতর ও বিএলআরও-তে বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিতে বলেন। সংবাদ মাধ্যমকে বিধান রায় জানান, প্রয়োজনে তিনি নিজে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আসবেন। প্রশাসনিক আশ্বাসে আশাবাদী স্থানীয়রা।
