এখনই উঠছে না সাসপেনশন, ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েও নিরাশ হতে হলো রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টারকে (Rabindra Bharati University)। রবীন্দ্রভারতীর রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ ছিল। তাঁকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছিল সিঙ্গল বেঞ্চ। এরপরই তিনি ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন কিন্তু সেখানেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিল যে সাসপেন্ড হওয়ার নির্দেশে আপাতত কোনও স্থগিতাদেশ নয়।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাদ্যযন্ত্রী শিক্ষকদের অবসরের বয়স ৬৫ করা নিয়ে একাধিক নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। কিন্তু রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার সেটা মানেন নি বলেই অভিযোগ। পার্থ ঘোষ নামে এক বাদ্যযন্ত্রী শিক্ষক এর প্রতিবাদ করে মামলা করেন। তিনি জানেন ৬০ বছর বয়স হওয়া মাত্রই তাঁকে অবসরের চিঠি ধরিয়েছেন রেজিস্টার।বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চ নির্দেশ দেয় অবসরের বয়স ৬৫, বকেয়া বেতন মেটানো এবং বাকি সব সুযোগ সুবিধা দিতে হবে মামলাকারীকে। কিন্তু তারপরও সেই নির্দেশ মানেননি রেজিস্টার। এরপর আদালত অবমাননার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। রেজিস্টারকে সাসপেন্ড করার পর তিনি উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেও সাসপেনশন উঠলো না। আদালত শিক্ষা দফতরের বিশেষ সচিব এবং রবীন্দ্রভারতীর রেজিস্টারকে কোর্টে তলব করেছিল।কিন্তু রেজিস্টার আসেননি। বিচারক কৌশিক চন্দ বিষয়টি ভালো চোখে দেখেননি। আজ ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গেল বেঞ্চের কাছেই মামলা ফিরিয়ে দেয় বলে খবর।
