সম্প্রীতি চায় না শুভেন্দু! দলবদলু বিরোধী দলনেতার পদক্ষেপের তী.ব্র বি.রোধিতা কুণালের

রাম নামে ধর্মীয় বিভাজনে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু ‘সংহতি যাত্রা’তে (Sanhati Yatra) মুখ পোড়ার আশঙ্কা বিজেপির (BJP)। আর সেকারণেই বুধবার দিল্লির দরবারে নিজেকে প্রমাণ করতে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ বিরোধী দলনেতা গদ্দার শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন হবে। ইতিমধ্যে জোরকদমে প্রস্তুতির পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election) আগে ‘রাম’ নামে ধর্মীয় বিভাজনের খেলায় মেতেছে বিজেপি। কিন্তু বাংলায় সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে মিলেমিশে থাকেন। সেকারণে কোনওভাবেই এসব বরদাস্ত হবে না বাংলায়, সেকথা বারবার জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু বিরোধী দলনেতা কেন্দ্রের গুডবুকে নাম তুলতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংহতি যাত্রা বন্ধের আবেদন জানিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন। তবে এই প্রসঙ্গে গদ্দার তথা দলবদলু শুভেন্দুকে একহাত নেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি সাফ জানান, আগামী ২২ তারিখ যে মিছিল হচ্ছে তার একমাত্র লক্ষ্য সংহতি ও সম্প্রীতি বজায় রাখা। এর সঙ্গে রাম মন্দিরের কোনও যোগাযোগ নেই। কিন্তু সম্প্রীতি একেবারেই চায় না শুভেন্দু। সেকারণেই আদালতে গিয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদি সরকারের নির্দেশে রাম মন্দির উদ্বোধনের নামে বাংলায় ধর্ম নিয়ে নোংরা রাজনীতির খেলা খেলতে চেয়েছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষিত যাত্রার কারণে পায়ের তলার মাটি সরছে বিরোধী দলনেতার। আর সেকারণেই তড়িঘড়ি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

বুধবার বিরোধী দলনেতার তরফে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের আবেদন জানানো হয়। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন হাই কোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি মধুরেশ প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চ। বৃহস্পতিবারই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন হলেও সারা দেশ জুড়ে দিনটি উদযাপনের নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজ্য জুড়ে সম্প্রীতির বার্তা দেওয়ার জন্য ওই দিনটিকেই বেছে নিয়েছেন মমতা। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছেন, ২২ জানুয়ারি কলকাতা ও প্রত্যেকটি জেলায় ব্লকে ব্লকে মিছিল করে সংহতির বার্তা দেওয়া হবে। আর কলকাতায় হাজরা থেকে পার্ক সার্কাস ময়দান পর্যন্ত হবে মেগা মিছিল। সেখানে উপস্থিত থাকবেন সব ধর্মের মানুষ। আর মমতা থাকবেন মিছিলের নেতৃত্বে।

শুভেন্দুর যুক্তি শুভেন্দু অধিকারীর যুক্তি, ওই দিনে হাজরা থেকে পার্ক সার্কাস অবধি মিছিল হলে ভুল বার্তা যেতে পারে। এই প্রসঙ্গে হনুমান জয়ন্তী সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে গদ্দার শুভেন্দু গণ্ডগোলের আশঙ্কাপ্রকাশ করেন। এরই পাল্টা দেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, যারা ধর্মের নামে বিষ ঢালতে চায় তাঁরাই ‘সংহতি যাত্রা’য় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই মিছিলের সঙ্গে রাম মন্দিরের যে কোনও যোগাযোগ নেই তা আগেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২২ তারিখের মিছিলের উদ্দেশ্য সম্প্রীতি ও সংহতি বজায় রাখা।

 

 

 

 

Previous articleটি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে শেষ ম্যাচ, নিজেদের শক্তি পরীক্ষায় আজ টিম ইন্ডিয়া!
Next article১৬ ছক্কায় ১৩৭ রান!পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্বরেকর্ড নিউজিল্যান্ডের ফিন অ্যালেনের