কলকাতা বইমেলা লন্ডনের থেকেও বড়, বাংলার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত!

রবি ঠাকুরের ইংল্যান্ড ভ্রমন থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের লর্ডসের বুকে দা.পট দেখানোর কথা এদিন উল্লেখ করেন অ্যালেক্স।

শুরু হল ৪৭ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ২০২৪ (47th International Kolkata Book Fair 2024) । এবছর বইমেলার থিম কান্ট্রি ইউনাইটেড কিংডম (UK)। উদ্বোধনী মঞ্চে ভারতে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত অ্যালেক্স এলিস সিএনজি (British Ambassador to India Alex Ellis CMG) বাংলায় স্পষ্ট উচ্চারণ করে সকলের সঙ্গে নিজের পরিচয় করে নেন। মুখ্যমন্ত্রীর (CM )ঠোঁটের কোণে তখন মৃদু হাসি।অ্যালেক্স (Alex Ellis CMG)নিজের বক্তব্যের শুরুতেই বলেন জ্ঞানের পরিধি বিস্তার করতে বইয়ের কোন বিকল্প নেই। এই প্রসঙ্গে ভারতের সঙ্গে তাঁর প্রথম পরিচয় পর্বের স্মৃতি তুলে ধরেন তিনি। বলেন মাত্র সাত বছর বয়সে বই পড়েই এত সুন্দর এই দেশের কথা জেনেছিলেন। পড়েছিলেন চন্দ্রশেখর আজাদের কথা, চিনেছিলেন ইডেন গার্ডেনসকে। বইয়ের মাধ্যমে যে একটা গোটা পৃথিবী বদলে ফেলা যায় কিংবা গোটা বিশ্বকে হাতের তালুর মতো চিনতে পারা যায় সে কথা অস্বীকার করার উপায় নেই।জার্মানির প্রথম প্রিন্টিং মেশিনের কথাও মনে করেন অ্যালেক্স। ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত বলেন কলকাতা বইমেলা (Kolkata Book Fair) আন্তর্জাতিক বইমেলা হয়ে উঠতে পেরেছে বলেই তিনি আজ এই মঞ্চে কথা বলতে পারছেন।

 

এ বছরে বইমেলার অন্যতম আকর্ষণ থিম কান্ট্রির বুক স্টল। যেখানে দুই দেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সংক্রান্ত একাধিক তথ্যের পাশাপাশি দুই দেশের সাদৃশ্যপূর্ণ ইতিহাসের কথাও তুলে ধরা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অ্যালেক্স বলেন, কলকাতা বইমেলা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বইমেলা যা লন্ডনের থেকেও বড়। এই মুহূর্তে কলকাতায় বসে থেকে সত্যিই যে লন্ডনের অনুভূতি পাচ্ছেন সেই কথাও শোনা যায় তাঁর মুখে। বিশেষ করে মেঘ কুয়াশা বৃষ্টি আর তার সঙ্গে এত মানুষের বইয়ের প্রতি আবেগ দেখে মুগ্ধ ভারতে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত। এই নিয়ে পঞ্চম বার এই বইমেলার অংশ হতে পেরে গর্বিত ইংল্যান্ড। রবি ঠাকুরের ইংল্যান্ড ভ্রমন থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের লর্ডসের বুকে দাপট দেখানোর কথা এদিন উল্লেখ করেন অ্যালেক্স। সত্যজিৎ রায়ের ব্রিটেনের বিজ্ঞাপন সংস্থায় কাজের প্রসঙ্গ ধরে রাষ্ট্রদূত বলেন ভারত আর ইংল্যান্ড যখনই একত্র হয়ে কিছু করেছে তখনই সেটা মাস্টারপিসের জন্ম দিয়েছে এবারের কলকাতা বইমেলা তার অন্যতম উদাহরণ। বাংলার সাহিত্য থেকে কৃষ্টি সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যবাহী দুর্গা পুজোকে এভাবে গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরাএবং বইমেলার মতো প্লাটফর্মে ইংল্যান্ডকে বিশেষ জায়গা করে দেওয়ার জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) ধন্যবাদ জানান তিনি।

Previous articleল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে উপত্যকায় শহিদ জওয়ান, জখম ২
Next articleকলকাতা হাই কোর্টে বাংলায় শুনানির সিদ্ধান্ত জানালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়