Thursday, August 28, 2025

“শুভেন্দুর গালে আদালতের থা.প্পড়”! সংহতি মিছিলের অনুমতি মিলতেই বিরোধী দলনেতাকে ক.টাক্ষ কুণালের

Date:

Share post:

ভয় পেয়ে মনগড়া আশঙ্কা নিয়ে বুধবারই কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা গদ্দার শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। মনে ছিল যেভাবেই হোক আটকাতেই হবে ‘সংহতি মিছিল’। ২২ জানুয়ারি কোনওভাবেই যাতে মিছিল করতে না পারে তৃণমূল কংগ্রেস দলের হাইকম্যান্ডের কথা শুনে হাই কোর্টে গিয়ে চূড়ান্ত নাটক করলেও লাভের লাভ কিছুই হল না। উল্টে হাই কোর্টের নির্দেশে মুখ পুড়ল গদ্দারের। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্ট সাফ জানিয়ে দিল আগামী ২২ জানুয়ারি তৃণমূলের (TMC) সংহতি মিছিলে (Sanhati Rally) কোনও বাধা নেই। তবে এদিন হাই কোর্ট জানিয়েছে মিছিল থেকে এমন মন্তব্য করা যাবে না যা ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করে। সংহতি মিছিল রুখতে বুধবারই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। ‘অশান্তি’র মনগড়া কাহিনী শুনিয়ে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন তিনি। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিয়ন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। আর এদিন ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে ফের পায়ের তলার মাটি হারিয়ে চাপে পড়লেন বিরোধী দলনেতা। হাই কোর্টের রায়ের পরই গদ্দারকে একহাত নেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি বলেন, এই নির্দেশ আসলে শুভেন্দুর গালে আদালতের থাপ্পড়। তিনি আরও বলেন, বাংলায় শান্তি-সম্প্রীতির মিছিল হবে। কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন নেই। রাজ্য পুলিশই যথেষ্ট। শুভেন্দুরা বিভেদ চেয়েছিল। আদালত ওদের গালে কষিয়ে থাপ্পড় মেরেছে।

২২ জানুয়ারি অর্থাৎ আগামী সোমবার তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ‘সংহতি মিছিল’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন, তা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। পাশাপাশি, আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার আর্জিও জানান দলবদলু বিরোধী দলনেতা। ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন হলেও মমতা বারবার জানিয়েছেন এই মিছিলের সঙ্গে রাম মন্দির উদ্বোধনের কোনও সম্পর্ক নেই। এটা সব ধর্মের মানুষকে নিয়ে সংহতি মিছিল। হাজরা থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত মিছিল করার কথা রয়েছে।

তবে শুভেন্দু শত লাফালাফি করলেও লাভের লাভ এদিন কিছুই হল না। তিনি হয়তো চেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের গুডবুকে নাম তোলার। লোকসভা নির্বাচনের আগে নিজের আখের গোছানোর পরিকল্পনা থাকলেও এদিন তা বানচাল করে দিল হাই কোর্ট। এদিন আদালত সাফ জানিয়েছে, মিছিলের যাতে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকে তার দায় নিতে হবে রাজ্য পুলিশের ডিজি, আইজি এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে। ওই দিন কলকাতার পাশাপাশি ব্লক স্তরেও সংহতি মিছিলের ডাক দিয়েছে তৃণমূল। এই মিছিলগুলির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না, তা জেলাশাসক এবং পুলিশকে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

 

 

 

spot_img

Related articles

রজতজয়ন্তীতে ডব্লিউবিএনইউজেএসকে উচ্চ প্রশংসা, মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ প্রধান বিচারপতির

কলকাতার পশ্চিমবঙ্গ জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয় (ডব্লিউবিএনইউজেএস)-এর উৎকর্ষতা এখন বেঙ্গালুরুর থেকেও এগিয়ে—রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করলেন কলকাতা হাই কোর্টের...

এসএসসি নিয়োগ পরীক্ষা পিছবে না, আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট 

স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেও লাভ হলো না কিছু প্রার্থীর। দেশের...

যাত্রীদের জন্য দুঃসংবাদ! রবিবার টালিগঞ্জ থেকে ক্ষুদিরাম পর্যন্ত বন্ধ মেট্রো 

কলকাতার ব্লু লাইনের যাত্রীদের জন্য দুঃসংবাদ। আগামী রবিবার মহানায়ক উত্তম কুমার (টালিগঞ্জ) থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশন পর্যন্ত বন্ধ...

এনএইচএম কর্মীদের বড় উপহার, উৎসবের মুখে বোনাস ঘোষণা রাজ্যের 

উৎসবের দোরগোড়ায় জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের কাজে নিযুক্ত রাজ্যের স্বেচ্ছাসেবক ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য বড় ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।...