Saturday, November 22, 2025

“শুভেন্দুর গালে আদালতের থা.প্পড়”! সংহতি মিছিলের অনুমতি মিলতেই বিরোধী দলনেতাকে ক.টাক্ষ কুণালের

Date:

Share post:

ভয় পেয়ে মনগড়া আশঙ্কা নিয়ে বুধবারই কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা গদ্দার শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। মনে ছিল যেভাবেই হোক আটকাতেই হবে ‘সংহতি মিছিল’। ২২ জানুয়ারি কোনওভাবেই যাতে মিছিল করতে না পারে তৃণমূল কংগ্রেস দলের হাইকম্যান্ডের কথা শুনে হাই কোর্টে গিয়ে চূড়ান্ত নাটক করলেও লাভের লাভ কিছুই হল না। উল্টে হাই কোর্টের নির্দেশে মুখ পুড়ল গদ্দারের। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্ট সাফ জানিয়ে দিল আগামী ২২ জানুয়ারি তৃণমূলের (TMC) সংহতি মিছিলে (Sanhati Rally) কোনও বাধা নেই। তবে এদিন হাই কোর্ট জানিয়েছে মিছিল থেকে এমন মন্তব্য করা যাবে না যা ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করে। সংহতি মিছিল রুখতে বুধবারই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। ‘অশান্তি’র মনগড়া কাহিনী শুনিয়ে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন তিনি। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিয়ন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। আর এদিন ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে ফের পায়ের তলার মাটি হারিয়ে চাপে পড়লেন বিরোধী দলনেতা। হাই কোর্টের রায়ের পরই গদ্দারকে একহাত নেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি বলেন, এই নির্দেশ আসলে শুভেন্দুর গালে আদালতের থাপ্পড়। তিনি আরও বলেন, বাংলায় শান্তি-সম্প্রীতির মিছিল হবে। কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন নেই। রাজ্য পুলিশই যথেষ্ট। শুভেন্দুরা বিভেদ চেয়েছিল। আদালত ওদের গালে কষিয়ে থাপ্পড় মেরেছে।

২২ জানুয়ারি অর্থাৎ আগামী সোমবার তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ‘সংহতি মিছিল’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন, তা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। পাশাপাশি, আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার আর্জিও জানান দলবদলু বিরোধী দলনেতা। ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন হলেও মমতা বারবার জানিয়েছেন এই মিছিলের সঙ্গে রাম মন্দির উদ্বোধনের কোনও সম্পর্ক নেই। এটা সব ধর্মের মানুষকে নিয়ে সংহতি মিছিল। হাজরা থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত মিছিল করার কথা রয়েছে।

তবে শুভেন্দু শত লাফালাফি করলেও লাভের লাভ এদিন কিছুই হল না। তিনি হয়তো চেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের গুডবুকে নাম তোলার। লোকসভা নির্বাচনের আগে নিজের আখের গোছানোর পরিকল্পনা থাকলেও এদিন তা বানচাল করে দিল হাই কোর্ট। এদিন আদালত সাফ জানিয়েছে, মিছিলের যাতে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকে তার দায় নিতে হবে রাজ্য পুলিশের ডিজি, আইজি এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে। ওই দিন কলকাতার পাশাপাশি ব্লক স্তরেও সংহতি মিছিলের ডাক দিয়েছে তৃণমূল। এই মিছিলগুলির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না, তা জেলাশাসক এবং পুলিশকে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

 

 

 

spot_img

Related articles

আর কত প্রাণ যাবে? আরও এক মহিলা BLO-র আত্মহত্যায় নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্ন ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর

নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত কাজের চাপের জেরে রাজ্যে আবারও আত্মঘাতী মহিলা বিএলও(BLO)। তাঁর আত্মহত্যার ঘটনায় মর্মাহত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata...

হিন্দুরা যদি না থাকে তবে পৃথিবীর অস্তিত্বও থাকবে না: মনিপুরে দাবি ভাগবতের

”হিন্দুরা যদি না থাকে তবে পৃথিবীর অস্তিত্বও থাকবে না”- ফের বিতর্কিত মন্তব্য রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবতের...

দাবি আদায়ে অপহরণ ২০০ স্কুলপড়ুয়াকে! নাইজেরিয়ায় এক সপ্তাহে দুবার হামলা

প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিজেদের দাবি আদায় অপহরণের পথ বেছে নিয়েছে নাইজেরিয়ার জেহাদি গোষ্ঠীগুলি। উত্তর নাইজেরিয়ায় (Nigeria) বারবার অপহরণের (abduction)...

বিশ্বকাপের আগেই ফিফার মেগা টুর্নামেন্ট, সুযোগ পাবে ভারত?

আগামী বছর উত্তর আমেরিকার তিন দেশে হবে বিশ্ব ফুটবলের মহাযজ্ঞ। আগামী বছর ফিফা বিশ্বকাপ(FIFA World Cup) হবে ৪৮...