গঙ্গাসাগর মেলার জন্য রেকর্ড টিকিট বিক্রি! মাত্র ৬ দিনে মোটা টাকা ঘরে তুলল রেল

গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasagar Mela) উপলক্ষ্যে বড় অঙ্কের লক্ষ্মীলাভ রেলের (Indian Railways)। অঙ্কটা নেহাতই কম নয়, ৩৮ লক্ষ টাকা। এই খবর সামনে আসতেই চোখ কপালে দেশবাসীর। গত ১৫ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তির (Makar Sankranti) মেলা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এই সময়ে গঙ্গাসাগরে পুণ্যলাভের আশায় ছুটে যান। এবছরও তার অন্যথা হয়নি। মেলা শুরুর আগে থেকেই বহু তীর্থযাত্রী গঙ্গাসাগর পৌঁছে যান। তবে চলতি বছর তীর্থযাত্রীদের সুবিধার্থে পরিষেবা ও প্রযুক্তিগত দিক থেকে একাধিক বদল এনেছিল পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশন (Sealdah Divison)। যার ফল মিলেছে হাতেনাতে।

রেল সূত্রে খবর, মেলার ছ’দিনে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার একাধিক স্টেশনে ভিড় উপচে পড়েছিল। ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি সাগরে পাড়ি দেন ১ লক্ষ ৫৫ হাজার যাত্রী। যা গত বছরের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি। শুধুমাত্র গঙ্গাসাগরের ওই ক’দিন ট্রেন পরিষেবা দিয়ে ভাড়া হিসেবে ৩৮ লক্ষ টাকা ঘরে তুলল শিয়ালদহ ডিভিশন। যা গত বছরেরতুলনায় প্রায় ১২ শতাংশ বেশি। তবে রেলের বিপুল অঙ্কের লক্ষ্মীলাভের পর উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। দেশের দ্বিতীয় মেতার তকমা পাওয়া সত্ত্বেও যে মেলার জন্য মোদি সরকার এক পয়সাও খরচ করে না, আর তাকে অস্ত্র করেই এবার মেলার কয়েকদিনে লাখ লাখ টাকা ঘরে তুলল রেল। রাজনৈতিক মহলের মতে, তারপরেও গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলার স্বীকৃতি দিতে নারাজ নরেন্দ্র মোদির সরকার। তবে অন্যান্য বছরের মতো এবছরও মেলাকে ঢেলে সাজিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তীর্থযাত্রীদের যাতে কোনোরকম সমস্যা না হয় তার জন্য সদা সর্তক ছিল প্রশাসন।

চলতি বছর পূর্ব রেলের তরফে তীর্থযাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে এবার মোবাইল ইউটিএস কাউন্টার খোলা হয়েছিল। যে কারণে বয়স্কদের বাড়তি সুবিধা হয়েছে। টিকিট কাউন্টারে লম্বা লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন হয়নি। পর্যাপ্ত সংখ্যক রেলকর্মী বিশেষ প্রযুক্তির সাহায্যে স্টেশনে দাঁড়িয়ে টিকিট কেটে দিয়েছেন। রেলের দাবি, মোট বিক্রি হওয়া টিকিটের ১২ শতাংশ এই মোবাইল কাউন্টারের মাধ্যমে হাতে পেয়েছেন যাত্রীরা। পাশাপাশি যাত্রীদের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা, রেল পুলিশ সহ একাধিক ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

 

 

 

Previous articleআজই প্রকাশ্যে এল কৃষ্ণশিলায় তৈরি ‘রামলালা’র মূর্তি!
Next article‘গ্যারান্টি চাকরি’! কোচিং সেন্টারের বিজ্ঞাপনে আর কী কী লিখলে বিরাট জরিমানা