আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন। এই পরিস্থিতিতে ২২ জানুয়ারি নিয়ে এ রাজ্যে বাড়তি সতর্ক পুলিশ ও প্রশাসনও।জানা গিয়েছে, যে কোনও মূল্যে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে শুক্রবার বিকেলে সব জেলার পুলিশ সুপার এবং সিনিয়র পুলিশ অফিসারদের নিয়ে বৈঠক করলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। আসলে সোমবার অযোধ্যায় রাম মন্দিরে রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে বাংলায় টেনশন বাড়ছে। অভিযোগ, তাতে ইন্ধন জোগানের চেষ্টায় নেমেছেন বিজেপির তাবড় নেতারা।
যেমন শুক্রবার মেদিনীপুরের সাংসদ তথা প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ টুইট করে বলেছেন, যার শরীরে হিন্দু রক্ত রয়েছে, সে রামের বিরুদ্ধে যাবে না। যারা তৃণমূলের উচ্ছিষ্ট ভোগী, এই করেই খাচ্ছে আর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, এরকম কিছু লোক তৃণমূলের রাম বিরোধী মিছিলে যাবে।দিলীপের চড়া দাগের মন্তব্য যে উস্কানি দিতে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এ ব্যাপারে রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু পাল্টা টুইট করে বলেছেন, বাংলায় সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়াতে এরা মরিয়া হয়ে উঠেছে। রাম নবমীর মিছিলের নামে এভাবেই ওরা বিভাজন তৈরি করতে চেয়েছিল। রাজ্যে বিজেপির এই ষড়যন্ত্রকে বানচাল করে দিয়ে সম্প্রীতি ও সৌভ্রাতৃত্বের পরিবেশ টিকিয়ে রাখতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। বিবৃতি পাল্টা বিবৃতির মধ্যেই, পুলিশ কিন্তু কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয়।জেলার সব পুলিশ কর্তাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন- মধ্যপ্রদেশের হোমে শিশুদের যৌন নির্যাতন, অভিযোগ দায়ের NCPCR-এর
