ডার্বির রং লাল-হলুদ, কলিঙ্গ সুপার কাপে মোহনবাগানকে ১-৩ গোলে হারালো ইস্টবেঙ্গল, জোড়া গোল অধিনায়ক ক্লেটন সিলভার

ম্যাচে এদিন শুরুতেই গোল করে ফেলে মোহনবাগান। তবে তা অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। বক্সের মধ্যে কিয়ান নাসিরির থেকে বল

সুপার কাপের শেষ চারে পৌঁছে গেল ইস্টবেঙ্গল এফসি । এদিন সুপার কাপের ম্যাচে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে ৩-১ গোলে হারাল কার্লোস কুয়াদ্রাতের দল। লাল-হলুদের হয়ে জোড়া গোল অধিনায়ক ক্লেটন সিলভার । জোড়া গোল করে ম্যাচের সেরা ক্লেটন। একটি গোল নন্দ কুমারের।

ম্যাচে এদিন শুরুতেই গোল করে ফেলে মোহনবাগান। তবে তা অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। বক্সের মধ্যে কিয়ান নাসিরির থেকে বল পেয়ে গোল করেন আর্মান্দো সাদিকু। কিন্তু কিয়ান অফসাইডে থাকায় বাতিল হয় গোল।এরপর ম্যাচে পালটা আক্রমণ চালায় সবুজ-মেরুন। যারফলে ম্যাচের ১৯ মিনিটে গোল পেয়ে যায় মোহনবাগান। বাগানের হয়ে গোলটি করেন হেক্টর ইউস্তে।দিমিত্রি পেত্রাতোসের কর্নার থেকে গোল করলেন হেক্টর ইউস্তে।এরপরই ম্যাচে পাল্টা আক্রমণে চাপ বাড়ায় লাল-গলুদ। যারফলে ম্যাচের ২৫ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে সমতা ফেরান অধিনায়ক ক্লেটন সিলভা। বক্সের বাইরে ডানপায়ে দুর্দান্ত শট ক্লেইটন সিলভার। বল আছড়ে পড়ে মোহনবাগানের জালে।এরপর ফের আক্রমণে যায় ইস্টবেঙ্গল। অনেক বেশি আক্রমণ করছে তারা। কয়েক বার গোলের সুযোগও তৈরি হয়। অন্যদিকে মোহনবাগান প্রতি-আক্রমণ থেকে খেলা তৈরির চেষ্টা করে। তবে এরই মধ্যে বিরতির ঠিক আগে পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। গতিতে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন কিয়ান। তাঁর গতির কাছে ছিটকে যায় ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্স। তাঁকে ধরতে আসার আগে বক্সের মধ্যে পড়ে যান হিজাজি। কিয়ানের শট তাঁর হাতে লাগে।তবে এই পানাল্টি কাজে লাগাতে পারেননি পেত্রাতোস। পেত্রাতোস প্রথমে গোল করেছিলেন। কিন্তু তিনি মারার আগে ফুটবলার বক্সে ঢুকে পড়ায় দ্বিতীয় বার পেনাল্টি নিতে হয় পেত্রাতোসকে। প্রথমবার গোল হলেও দ্বিতীয়বার পোস্টে মারেন তিনি। প্রথমার্ধে ম্যাচের ফলাফল থাকে ১-১।

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বজায় রাখে লাল-হলুদ। তবে আক্রমণে ঝাপায় সবুজ-মেরুনও। তবে এদিন লাল-হলুদের ডিফেন্স ভাঙতে পারেননি পেত্রাতোস-কিয়ানরা। তবে এরই মধ্যে দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় কুয়াদ্রাতের দল। ম্যাচের ৬২ মিনিটে লাল-হলুদের হয়ে ২-১ করেন নন্দ কুমার। মোহনবাগানের ডিফেন্সের ভুলে গোল খায় । বাগানের রবির পায়ে বল। তাঁর পিছনে আসছিলেন বোরহা। ভুল করে বোরহাকে ঠিক বক্সের মাথায় বলটা তুলে দেন। গোললাইন ছেড়ে এগিয়ে আসেন মোহনবাগান গোলকিপার। কোণ ছোট করে দেন। বোরহার শট বারপোস্টে লাগে। ফিরতি বলে গোল করে বেরিয়ে যান নন্দকুমার । এরপর ম্যাচএ ঝাপায় মোহনবাগান। ম্যাচের ৭১ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে আক্রমণ করেন কিয়ান নাসিরি। ডানপ্রাপ্ত থেকে বক্সের মধ্যে ক্রস দেওয়ার চেষ্টা তাঁর। কিন্তু বল ক্লিয়ার করে দিন ইস্টবেঙ্গল।এরপর ম্যাচে ফের গোল লাল-হলুদের। আবার ভুল বাগান রক্ষণের। গোলরক্ষক আর্শ আনোয়ার। একটি নিরীহ বল ধরতে পারেননি তিনি। ফিরতি বলে গোল করেন ক্লেটন সিলভা। জোড়া গোল করে লাল-হলুদের হয়ে ৩-১ করেন ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক। এরপর ম্যাচে আক্রমণে ঝাপায় কুয়াদ্রাতের দল। তবে গোলের ব্যবধান আর বাড়াতে পারেনি লাল-হলুদ ব্রিগেদ।

আরও পড়ুন- কোপা আমেরিকা পর্যন্ত আর্জেন্তিনার কোচের দায়িত্বে স্কালোনি

 

Previous article১১ লাখ কৃষকের ব্যাঙ্কে ঢুকবে ১০২ কোটি! উদ্যোগী নবান্ন
Next articleবইমেলায় প্রকাশ সন্দীপ চক্রবর্তীর ‘untold নিবেদিতা’