ডার্বি জিতেও আক্ষেপ যাচ্ছে না কুয়াদ্রাতের, ম্যাচ জিতে কী বললেন লাল-হলুদ কোচ?

ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে কুয়াদ্রাত বলেন, “ এই জয়ের পরে সমর্থক, ফুটবলার, সাপোর্ট স্টাফ সবার জন্যই আমি খুশি। ইস্টবেঙ্গল আবার

গতকাল সুপার কাপে মেগা ডার্বিতে দুরন্ত জয় পায় ইস্টবেঙ্গল এফসি। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে হারায় ৩-১ গোলে। এই জয়ের ফলে সুপার কাপের সেমিফাইনালে লাল-হলুদ ব্রিগেড। এই জয় এলেও কোন বাড়তি উচ্ছ্বস নেই ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতের। বরং একটা আক্ষেপ রয়ে গিয়েছে তাঁর। যা ম্যাচ জিতেও একটা আক্ষেপ যাচ্ছে না লাল-হলুদ কোচের। ম্যাচ শেষে নিজেই জানালেন সেই কথা।

ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে কুয়াদ্রাত বলেন, “ এই জয়ের পরে সমর্থক, ফুটবলার, সাপোর্ট স্টাফ সবার জন্যই আমি খুশি। ইস্টবেঙ্গল আবার লড়াকু দল হয়ে উঠেছে। অনেকদিন ধরেই এই ক্লাব কিছু জেতেনি। সমর্থকেরা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। গত কয়েক মাসে সেই আক্ষেপ কিছুটা হলেও মেটাতে পেরেছি। ডুরান্ড কাপের ফাইনালে উঠেছি। এবার সুপার কাপের সেমিফাইনালে উঠলাম। ইস্টবেঙ্গল আবার ট্রফির জন্য লড়াই করছে। আরও উঁচুতে ওঠার চেষ্টা করছে। এটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ । যে কোনও ডার্বিতে জেতাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সব জয়ই সমান আনন্দ দেয়। ইস্টবেঙ্গলের কোচ হয়ে আসার পর সেই ডার্বির আগে শুনেছিলাম মোহনবাগান সমর্থকেরা বলেছে আমাদের ৫-০ গোলে হারাবে। জিততে পেরে শান্তি পেয়েছি। এই ডার্বি জয়ের আনন্দও একই রকম। এ বার অনেক পরিকল্পনা নিয়ে নেমেছিলাম। আগের থেকে বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারছি। আজ আরও বেশি গোলে জিততে পারতাম। সব কিছু আপাতত ঠিক দিকেই এগোচ্ছে।”


এরপর কুয়াদ্রাত অধিনায়ক ক্লেটন সিলভার প্রসংশায় বলেন, “ ক্লেটনের মতো বুদ্ধিমান ফুটবলার খুব কমই দেখেছি। গোল করে ঠিকই। কিন্তু যে ম্যাচে গোল পায় না সেখানেও নিজের অবদান রাখে। আগের ম্যাচেও অ্যাসিস্ট করেছে। নীচে নেমে এসে আক্রমণ তৈরি করেছে। গোলের দিকে বল ভাসিয়ে দিয়েছে। ওকে নিয়ে আলাদা করে আর কী-ই বা বলার রয়েছে।”

আরও পড়ুন-Breakfast Sports : ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস


Previous articleGold Silver Rate: আজ সোনা রুপোর দাম কত? জেনে নিন এক ঝলকে
Next articleমহিলাদের ‘আত্মনির্ভরতায়’ জোর! নয়া অর্থবর্ষে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির জন্য রেকর্ড ঋণদানের ঘোষণা রাজ্যের