মুখ পুড়ল আইএসএফের, প্রতিষ্ঠা দিবসে মাত্র ১২ জন কর্মী হাজির!

রবিবার সেই হাজার সংখ্যা তো অনেক দূর, হাতেগোনা ১০-১২ জনের বেশি কারও দেখাই মিলল না নেতাজি ইন্ডোরে।চেয়ার নেই! গ্যালারি ফাঁকা! আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবস না অন্য কোনও অনুষ্ঠান বোঝা দায়।

দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে ধর্মতলায় সভা করতে চেয়ে হাই কোর্ট পর্যন্ত গিয়েছিল আইএসএফ। সেই তর্জন গর্জন যে সার তার প্রমাণ মিলল হাতেনাতে।প্রথমে ভিক্টরিয়া হাউসের সামনে অনুষ্ঠান করার অনুমতি চেয়েছিল আইএসএফ৷ তবে সেই অনুমতি পায়নি। এরপর হাই কোর্ট ডিভিশন বেঞ্চের মারফত নেতাজি ইন্ডোরে সভার অনুমতি পায়। তবে সেখানেও জমায়েতের সদস্য সংখ্যা বেঁধে দেওয়া হয় হাজারে৷ রবিবার সেই হাজার সংখ্যা তো অনেক দূর, হাতেগোনা ১০-১২ জনের বেশি কারও দেখাই মিলল না নেতাজি ইন্ডোরে।চেয়ার নেই! গ্যালারি ফাঁকা! আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবস না অন্য কোনও অনুষ্ঠান বোঝা দায়।
যদিও নওশাদ সিদ্দিকি ড্যামেজ কন্ট্রোল করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। বলেছেন,আমরা কোর্ট অর্ডার মেনে চলেছি। ১০০০ জন কর্মী সমর্থক ঢুকবেন, আর বাকিরা ঢুকতে পারবেন না, এমনটা হলে তাঁরা মনোক্ষুণ্ণ হবেন, তাই নেতাজি ইন্ডোর ফাঁকা। আঈসলে যে তার ডাকে প্রতিষ্ঠা দিবসেও কর্মীরা সাড়া দিলেন না, সেটা স্পষ্ট।এদিন মিডিয়া ছাড়া আর হাতে গুনে মঞ্চে নাওশাদ সিদ্দিকি সহ ১০/১২ জন আইএসএফ কর্মীরা ছিলেন।
নওশাদ আবার আগ বাড়িয়ে, রাজ্যের অর্থনীতি বদলে দিতে চান। না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন বলেছেন।তা যে শুধুই মুখের কথা তা বুঝতে কারও বাকি নেই।যার পাশে কোনও জন সমর্থনই নেই, তিনি বদলের কথা বলেন কোন মুখে, সেই প্রশ্নও উঠেছে।

তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের কটাক্ষ, বড় বড় কথা না বলে আগে মানুষ ওর পাশে নেই কেন খুঁজুক। বিজেপির থেকে টাকা নিয়ে, বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে দল করে। এর মুখে এসব কথা মানায় না। শুধু মানু,কে উস্কানো কথাবার্তা। একেবারে বিজেপির শেখানো বুলি আওড়াচ্ছে। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, পারলে ডায়মন্ডহারবারে ভোটে জিতে দেখাক। খড়কুটোর মতো হারিয়ে যাবে।

 

 

Previous articleরঞ্জিতে খেলতে নেমে অনন্য নজির পুজারার
Next articleসোনার গয়না আর কাঞ্জিভরম পরে হনুমানগড়ি মন্দিরে ঝাড়ু কঙ্গনার!