Wednesday, December 24, 2025

কিছুক্ষণের মধ্যেই রামমন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা, অ.শান্তির আ.শঙ্কা অযোধ্যায়

Date:

Share post:

আর মাত্র কিছু মুহূর্তের অপেক্ষা। আর তারপরই ৫০০ বছরের বন্দিদশা ঘুচিয়ে অবশেষে নিজ গৃহে প্রবেশ করবেন রামলালা (Ramlala)। অযোধ্যার নব নির্মিত রাম মন্দিরের (Rammandir) মহোৎসব ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। সোমবার সকাল থেকেই রামনগরীতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। ইতিমধ্যে অযোধ্যার (Ayodhya) রাজপথে মানুষের উন্মাদনা চোখে পড়ছে। সরযূ নদীর পাড়ে সেজে উঠেছে রামনগরী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রাম জন্মভূমি। কিছুক্ষণের মধ্যেই অযোধ্যায় পা রাখবেন তিনি। সূত্রের খবর, সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তিনি পৌঁছে যাবেন নব নির্মিত অযোধ্যা এয়ারপোর্টে। তারপর সেখানে থেকে অযোধ্যা হেলিপ্যাডে। হেলিকপ্টারে রামতীর্থে পৌঁছবেন মোদি। ইতিমধ্যে রাম মন্দিরের উদ্বোধনে সামিল হতে অযোধ্যায় পৌঁছেছেন হেভিওয়েটরা। বলিউড অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন থেকে শুরু করে মাধুরী দীক্ষিত, সঙ্গীতশিল্পী সোনু নিগম-সহ বিভিন্ন মহলের মানুষ।

এদিন বেলা ১২টা বেজে ২০ মিনিটে শুরু হবে মূল অনুষ্ঠান। যা চলবে ১২টা বেজে ৫৫ মিনিট পর্যন্ত। মাত্র ৮৪ সেকেন্ডে সম্পন্ন হবে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার আচার-অনুষ্ঠান। যেখানে প্রধান যজমানের ভূমিকায় থাকবে প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি ভার্চুয়ালি সকলকে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার বার্তা দিয়েছে রাম জন্মভূমি ট্রাস্ট। দেশজুড়ে বহু জায়গায় দেখানো হবে এই অনুষ্ঠানের লাইভ স্ট্রিমিং। ঠিক একইভাবে ঘরে বসে এই সময় ডিজিটালে দেখুন রাম মন্দির উদ্বোধনের লাইভ টেলিকাস্ট। সকাল ১১টা থেকে শুরু হবে লাইভ স্ট্রিমিং। রাম মন্দিরের উদ্বোধনে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে মন্দির চত্বর। মোতায়েন করা হয়েছে বিরাট পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। থাকছে অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেমও। প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা খরচ করে নির্মিত রাম মন্দির। মূলত বাবরি মসজিদ ভেঙে সেখানেই এ মন্দিরটি তৈরি করা হয়েছে। আর সেই মন্দিরের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে অযোধ্যায় এখন সাজ সাজ রব।  তবে সূত্রের খবর, আশঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয় সংখ্যালঘুরা। ইতিমধ্যে যোগী সরকারের তরফে তাঁদের বাড়ির বাইরে বেরতে নিষেধ করা হয়েছে।

অযোধ্যায় কমপক্ষে পাঁচ লাখ মুসলিমের বসবাস। স্থানীয় বাসিন্দা বাদশাহ খান জানান, মন্দিরটি উদ্বোধনের দিন তিনি বাড়িতে থাকবেন। ৩০ বছর আগে বাবরি মসজিদ ভাঙা নিয়ে যে ধর্মীয় দাঙ্গা তৈরি হয়েছিল তা আবারও দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বাদশাহ খান। ১৬ শতকে তৈরি মসজিদটি ১৯৯২ সালে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনরা ভেঙে ফেলে। রাজনৈতিক মহলের মতে, লোকসভার নির্বাচনে আগে বিজেপি তুরুপের তাস হিসেবে এই মন্দিরকে কাজে লাগাতে চায়। এটি হিন্দু জাতীয়তাবাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষার একটি স্মৃতিস্তম্ভ ছাড়া আর কিছুই নয়।

 

 

 

 

spot_img

Related articles

শালবনিতে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র, হুগলিতে ওয়্যারহাউস! সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার 

কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি শিল্প পরিকাঠামো বৃদ্ধি করতে বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে...

ডিরেক্টরেট স্তরের কর্মীদের জন্য কমন ক্যাডার গঠন, সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভায়

রাজ্য সরকার এবার সচিবালয়ের কর্মীদের মতোই ডিরেক্টরেট স্তরের কর্মীদের জন্য কমন ক্যাডার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নবান্ন সূত্রে জানা...

পর্যটন মরশুমে নিয়মে বদল! বড়দিন ও নববর্ষে খোলা থাকবে ডুয়ার্সের জঙ্গল 

পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে ভরা পর্যটন মরশুমে বড় সিদ্ধান্ত নিল বনদফতর। জঙ্গল সাফারির সাপ্তাহিক রুটিনে সাময়িক পরিবর্তন এনে...

গান্ধীর নাম বাদের প্রতিবাদে কংগ্রেসের মিছিল ঘিরে অশান্তি

দিন কয়েক আগেই বিরোধীদের প্রবল বিক্ষোভ সত্ত্বেও মনরেগার (MGNREGA) পরিবর্তে জি রাম জি বিল পাশ করিয়েছে মোদি সরকার...