রেশন বন্টন মামলায় (Ration) প্রধান তদন্তকারী আধিকারিক (ED Officer) প্রশান্ত চান্ডিলকে (Prashant Chandil) জেরা করতে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex) বনগাঁ পুলিশ (Bongaon Police)। সম্প্রতি বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যকে (Shankar Adhya) গ্রেফতার করে ইডি।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতারের সময়ে তাঁর বাড়ির বাইরে বিশাল জমায়েত হয়েছিল।
এরপরই সবিস্তার অভিযোগ দায়ের করে ইডি। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার সিজিও কমপ্লেক্সে প্রশান্তকে জেরা করতে পৌঁছে যায় বনগাঁ থানার পুলিশ।

তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও সন্দেশখালি কাণ্ডের তদন্তে নেমে সল্টলেকে ইডির দফতরে পৌঁছে যায় ন্যাজাট থানার পুলিশও। পলাতক শেখ শাহজাহানের বাড়িতে গায়ের জোরে তল্লাশি করতে গিয়ে জনরোষের মুখে পড়তে হয় ইডি আধিকারিকদের। গুরুতর আহত হন তিন অফিসার। সেই ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিল ইডি। তারপর ইডির বয়ান রেকর্ড করতে কদিন আগে বসিরহাটের ডিএসপি-র নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম সিজিওতে যায়। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন পুলিশের ক্যামেরাম্যানও। তবে কোনওরমকভাবেই তাঁদের সাহায্য করা হয়নি বলে অভিযোগ বসিরহাট পুলিশের। তবে এদিন ইডির তদন্তকারী অফিসার প্রশান্ত চান্ডিলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সিজিওতে গিয়েছিল বনগাঁর পুলিশ। মূলত তাঁর বয়ান রেকর্ড করা ছিল তাঁদের উদ্দেশ্য।

তবে সিজিও সূত্রে জানানো হয়েছে, এই সব জিজ্ঞাসাবাদ ও বয়ান রেকর্ড নিয়ে তাঁরা খুব একটা আশাবাদী নন। সেকারণে তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করেননি ইডি আধিকারিক।
