Thursday, August 28, 2025

যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে জোর, সড়কপথের চাপ কমাতে জলপথে নতুন পরিষেবা পরিবহণ দফতরের!

Date:

রাস্তায় বাড়ছে যানজট, সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বিকল্প পরিবহণ ব্যবস্থাকে মজবুত করতে এবার জলপথকেই পাখির চোখ করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government of West Bengal)। বিশ্বব্যাঙ্কের টাকায় মোট ১৫টি ইলেকট্রিক ফেরি কিনতে চলেছে রাজ্য। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে কলকাতা সংলগ্ন শহরতলির বিভিন্ন গঙ্গার ঘাটে অত্যাধুনিক মানের জেটি নির্মাণ করা হবে বলেই সরকারি সূত্রে খবর মিলেছে। নতুন ইলেকট্রিক ফেরির মধ্যে সাতটি নন এসি এবং বাকিগুলো এসি ডেকযুক্ত। নতুন এই জেটিতে প্যাসেঞ্জার ওয়েটিং এরিয়া থেকে শৌচালয় সবই উন্নত মানের হবে বলে জানানো হয়েছে। এর ফলে জলপথে মানুষের আগ্রহ বাড়বে বলেই মনে করছে পরিবহণ দফতর (West Bengal Transport Department)।

পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর গঙ্গার ধারে যে সব পুরোনো জেটি ছিল তার বেশিরভাগই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে মাথার উপর কোনও শেড না থাকায় বর্ষা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় দুর্ভোগের শিকার হন যাত্রীরা। এছাড়া ওয়েটিং রুম না থাকার সমস্যা তো রয়েছে। তার সঙ্গে আবার শৌচাগার না থাকায় মহিলা এবমগ বয়স্করা যথেষ্ট সমস্যায় পড়েন। এবার নতুন জেটিতে এইসব সমস্যা থাকবে না। প্রতিবন্ধীরাও যাতে লঞ্চে যাতায়াত করতে পারেন তার জন্য সিঁড়ির বদলে র‍্যাম্প তৈরি করা হবে। অগ্নিকাণ্ড ঠেকাতে ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম থাকবে। পরিবহণ দফতর যাত্রী নিরাপত্তার জন্য গ্যাংওয়ে এবং পাথওয়ের দু’পাশে স্টিলের ব্যারিকেড দেওয়ার পরিকল্পনাও করেছে। দায়িত্বে রয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইনফ্রাসট্রাকচার ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন। বছর দেড়েকের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। নবান্ন সূত্রের খবর, বিশ্বব্যাঙ্কের ঋণের টাকায় গঙ্গার দুই পাড়ে যে ১৫টি নতুন ভাসমান জেটি তৈরি হবে সেই তালিকায় উত্তর ব্যারাকপুরের বাবাজি ফেরিঘাট, বৈদ্যবাটির কানাইদিওয়ার ফেরি ঘাট, ভাটপাড়ার আঠপুর ঘাট, চন্দননগরের গোন্দলপাড়া, হাওড়ার বালি ঘাট, উত্তর চব্বিশ পরগনার বরানগর, হাওড়ার জগন্নাথ ঘাট, হাওড়ার সাঁকরাইলের পোদরা, কলকাতার রাজাবাগান ঘাট, হুগলির চুঁচুড়ার চাঁদনি ঘাট, তামলিপাড়া ও হুগলি ঘাট, হালিশহরের জুটমিল ঘাট, এছাড়া মেটিয়াবুরুজ জেটি ঘাট এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার পুজালি ঘাট। সম্পূর্ণ পরিষেবা চালু হয়ে গেলে সাধারণ মানুষ অনেক বেশি করে জলপথে সফরের দিকে আগ্রহ দেখাবেন বলেই আশাবাদী রাজ্য পরিবহণ দফতর। এতে সড়কপথের যানজট অনেকটা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।


Related articles

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...

সুখবর! পুজোর আগে পার্ট টাইম কর্মীদের বেতন বাড়াল রাজ্য 

পুজোর আগে রাজ্যের আংশিক সময়ের কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল নবান্ন। বিভিন্ন দফতর ও সরকার অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত...
Exit mobile version