সন্দেশখালিতে ইডির সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে সংবাদমাধ্যম! প্রশ্ন তুলে খোঁচা অভিষেকের

“কলকাতা থেকে ৩ ঘণ্টার রাস্তা সন্দেশখালি। সেখানে ইডি ৮ টায় পৌঁছলে সংবাদমাধ্যম ৮ টা বেজে ১ মিনিটে পৌঁছচ্ছে। তার অর্থ, স্থানীয় পুলিশকে জানানো হচ্ছে না অথচ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে যাচ্ছে ওরা। তাহলে আপনার উদ্দেশ্যটা কি?” সন্দেশখালির ঘটনার নিন্দা করার পাশাপাশি এভাবেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরোধিতায় সরব হলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবার ডায়মন্ডহারবারে প্রশাসনিক বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের দলের তরফে যা বলা হয়েছে আমারও সেটাই বক্তব্য। কোনওভাবেই সন্দেশখালির ঘটনাকে আমরা সমর্থন করছিনা। যা ঘটেছে তা অনভিপ্রেত। সরকারের তরফেও বলা হয়েছে, ‘আপনি যদি পুলিশ না চান তখন সমস্যার একটা জায়গা হতে পারে।’ কিন্তু ওনারা যেখানে যাচ্ছেন সংবাদমাধ্যমও পিছন পিছন চলে যাচ্ছে। কলকাতা থেকে ৩ ঘণ্টার রাস্তা সন্দেশখালি। সেখানে ইডি ৮ টায় পৌঁছলে সংবাদমাধ্যম ৮ টা বেজে ১ মিনিটে পৌঁছচ্ছে। আপনি তল্লাশি অভিযানে যাচ্ছেন অথচ খবর সংবাদমাধ্যমকে দিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু পুলিশকে দিচ্ছেন না। তাহলে আপনার উদ্দেশ্যটা কি?” একইসঙ্গে তিনি যোগ করেন, “ইডি যেখানে খুশি তল্লাশিতে যেতে পারে। কিন্তু আমাদের বক্তব্য এই এজেন্সির ভূমিকা নিয়ে। এরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না।”

পাশাপাশি বিজেপি সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থে বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআইয়ের মতো এজেন্সিগুলির ব্যবহারের অভিযোগ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “যে কোনও বিজেপি শাসিত রাজ্য দেখুন ইডি সিবিআইয়ের অভিযান নেই। বিহারেও আগামী কাল থেকে ইডি সিবিআই যাবে না। শুধু যেখানে বিরোধীরা রয়েছে সেখানেই এরা সক্রিয়। কীভাবে রাজনৈতিক দলগুলিকে ভাঙা যায়, দুর্বল করা যায় অহরহ তার চেষ্টা চলছে। যাদের টাকা নিতে দেখা গেছে তাঁদের ইডি ডাকবে না। কারণ ওরা বিজেপির ছত্রছায়ায় রয়েছে। আর যারা নেই, যারা লড়াই করছে তাঁদের বিরুদ্ধে সক্রিয় এজেন্সি। এখানেই আমাদের প্রশ্ন।” একইসঙ্গে সারদা ইস্যুতেও সরব হন অভিষেক। বলেন, “সারদাতে কোনও সিপিএম নেতাকে ডাকেনি অথচ তৃণমূল নেতারা জেলে। সিপিএম আমলে সারদা শুরু। একজনকেও ডাকাও হয়নি। সুদীপ্ত সেন লিখিত অভিযোগ করেছে অধীরের বিরুদ্ধে। তাঁকে ডাকা হয়েছে?” এপ্রসঙ্গে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার প্রসঙ্গ তুলে অভিষেক বলেন, “অসমের মুখ্যমন্ত্রীর বিষয় আমরা জানি। সবটা জনসমক্ষে রয়েছে। তাহলে কেন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নয়? এক্ষেত্রে ইডির হাত কে বেঁধে রেখেছে?”

Previous articleবাজেট অধিবেশনের আগে মঙ্গলে কেন্দ্রের সর্বদলীয় বৈঠক, যোগ দেবে তৃণমূল
Next articleবর-১০৩, কনে-৪৯, ভাইরাল ভিডিও ঘিরে তোলপাড় নেটদুনিয়া