রাজ্যের ১০০ দিনের টাকা কেন আটকে রাখা হয়েছে। সরকারের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে ফের এই প্রশ্নেই সরব তৃণমূল কংগ্রেস। এদিনের বৈঠকে তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, এতদিন ধরে বাংলাকে অর্থনৈতিকভাবে অবরুদ্ধ করে রাখার চেষ্টা করেছে বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার। বিগত কয়েকবারের মতো এবারও অনুপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর পরিবর্তে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী এবং অর্জুন রাম মেঘওয়াল বৈঠকে সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন।

সুদীপ ছাড়াও এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার চিফ হুইপ সুখেন্দু শেখর রায়।
বৈঠকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দেশের যুক্তরাষ্ট্রের কাঠামো শেষ হয়ে গিয়েছে এই সরকারের আমলে। ক্রমাগত বাংলাকে অর্থনৈতিকভাবে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করছে তারা। এই মুহূর্তে মনরেগা খাতে কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের বকেয়া ১ লক্ষ ১৭ হাজার কোটি টাকা। শুধুমাত্র ১০০দিনের কাজেই বাংলার বকেয়া ৮ হাজার কোটি টাকা । মুখ্যমন্ত্রী দলীয় সাংসদের সাথে নিয়ে নিজে এসে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন দুই পক্ষের সচিবরা বসে সিদ্ধান্ত নেবেন কিন্তু কোনও সিদ্ধান্ত হলো না। কেন্দ্র পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে যে মুখ্যমন্ত্রী বলতে বাধ্য হচ্ছেন তিনি ২ ফেব্রুয়ারি থেকে অবস্থান সত্যাগ্রহতে বসবেন।
আরও পড়ুন- অষ্টম দুয়ারে সরকারের প্রাপকদের হাতে পৌঁছে দিতে ডে.ডলাইন বেঁধে দিল রাজ্য

তৃণমূলের অভিযোগ,এই মুহূর্তে দেশের বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা না করে প্রায় ১৫০ জন সংসদকে সাসপেন্ড করে নিজেদের ইচ্ছামত বিল পাস করছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের এই একনায়কতন্ত্রর বিরুদ্ধে তৃণমূলের হুঁশিয়ারি, ফেব্রুয়ারির ভোট অন একাউন্টে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন যেন মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্বের মত জ্বলন্ত ইসুগুলো নিয়ে আলোচনা করেন অন্যথা তাঁদের আবার আন্দোলনে নামতে হবে।
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রীর কাছে জানতে চান, রাষ্ট্রপতির ভাষণ এবং অর্থমন্ত্রীর ভাষণের উপর বিতর্কের সময় কত? যদিও তা স্পষ্ট করে বলতে পারেননি সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি বাংলাকে ভাতে মারার চেষ্টা করছে।
