অন্তর্বর্তী বাজেটে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে সংশয় প্রকাশ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের। দেশের উন্নতির পথে অত্যন্ত বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখানো হল জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারকে। যদিও ২০১১ সাল থেকে দেশে জনগণনাই বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে বৃদ্ধির হার সরকারিভাবে দেখানোই সম্ভব নয় কেন্দ্র সরকারের তরফে। এবার জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে উন্নয়নের সামঞ্জস্য বজায় রাখার জন্য তৈরি হবে কমিটি, ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর।

২০১১ সালে শেষ জনগণনা হয়েছিল ভারতে। মোদি সরকারের জমানায় কোনও জনগণনা হয়নি। যদিও আন্তর্জাতিক হিসাবে ভারতের জনসংখ্যা ১ কোটি ৪০ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ২০১১ সালে আদমসুমারি অনুযায়ী যা ছিল ১ কোটি ২০ লক্ষের কাছাকাছি।

অন্তর্বর্তী বাজেট পেশের সময় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জানান জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ও জনতত্ত্বের পরিবর্তন কেন্দ্র সরকারের ‘বিকশিত ভারত’ প্রকল্পকে সফল করতে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যদিও ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকশিত ভারত’ পরিকল্পনা সফল করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে কেন্দ্র সরকার। সেই পরিকল্পনা সফল করতে একটি ‘হাই পাওয়ার কমিটি’ গঠনের ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী। সেই কমিটি জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ ও জনতত্ত্ব পরিবর্তনের কারণে কী ধরনের বাধা তৈরি হচ্ছে পর্যবেক্ষণ করবে। এবং বাধা কাটানোর সুপারিশ পেশ করবে কেন্দ্র সরকারকে।

জনগণনার কাজ না করে কীভাবে এই কমিটি কাজ করবে তা নিয়ে যদিও তৈরি হয়েছে সন্দেহ। দীর্ঘদিন ধরেই দেশের বিরোধী দলগুলি জনগণনার ওপর গুরুত্ব দিলেও কেন্দ্রের মোদি সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা না বাড়ানোয় কেন্দ্র সরকারের আর্থিক ব্যর্থতার দিকটি যেমন প্রকট হচ্ছে, তেমনই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে কমিটি গঠনের মধ্যে দিয়েই জনগণনা না করার সিদ্ধান্ত মোদি সরকারের যে কত বড় ভুল তাও প্রমাণিত হচ্ছে। পক্ষান্তরে বিরোধীদের নীতিকেই মান্যতা দিতে বাধ্য হচ্ছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।
