Thursday, August 21, 2025

বাড়ল না আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা, হতাশ চাকুরিজীবী, মধ্যবিত্তরা

Date:

Share post:

দ্বিতীয় মোদি সরকারের শেষ অন্তর্বর্তী বাজেটে বাড়ল না আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে আয়কর ছাড়ের ৭ লক্ষ টাকার যে ঊর্ধ্বসীমা ছিল, তা-ই অপরিবর্তিত থাকল ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষেও। লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্র সরকারের থেকে যে প্রত্যাশা সাধারণ মানুষ করেছিল, কার্যত তা পূরণ করতেও ব্যর্থ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।

২০১৯ লোকসভা ভোটের আগে অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে ৬.৫ লক্ষ টাকা করার ঘোষণা করেছিলেন। সেখানে কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা তার আগের অর্থবর্ষের থেকে বাড়ানো হয়েছিল। পরবর্তী অর্থবর্ষেও অন্তত ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানো হয়েছিল। যাতে সাধারণ মধ্যবিত্ত ও চাকুরিজীবী মানুষ বেশ খানিকটা স্বস্তি পেয়েছিলেন।

একনজরে পুরনো আয়কর স্ল্যাব

  • ২.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে পুরানো কর ব্যবস্থার অধীনে কর থেকে অব্যাহতি পাবেন।
  • ২.৫ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মধ্যে আয়ের উপর পুরানো কর ব্যবস্থার অধীনে ৫ শতাংশ হারে কর প্রযোজ্য হবে।
  • ৫ লক্ষ থেকে ৭.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যক্তিগত আয়ের উপর পুরানো কর ব্যবস্থার অধীনে ১৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।
  • ৭.৫ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা আয়ের উপর পুরানো ব্যবস্থায় ২০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।
  • ১০ লক্ষ টাকার বেশি ব্যক্তিগত আয়ের উপর ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।

সেই ধারা বজায় রেখে দেশের অর্থনীতিবিদ ও বাজেট বিশেষজ্ঞরা প্রত্যাশা করেছিলেন এবারের বাজেটে সুখবর শোনাবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা অন্তত আড়াই লক্ষ থেকে তিন লক্ষ পর্যন্ত বাড়ানো হবে। কিন্তু সব সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করে আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা অপরিবর্তিতই রাখলেন অর্থমন্ত্রী। কার্যত এই বাজেট কেন্দ্র সরকারের দেউলিয়া অবস্থাকেই প্রতিফলিত করছে।

একনজরে নতুন আয়কর স্ল্যাব

  • ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে কোনও কর আরোপ করা হবে না।
  • ৩-৬ লক্ষ টাকার মধ্যে আয়ের উপর ৫ শতাংশ কর দিতে হবে।
  • ৬-৯ লক্ষ টাকার মধ্যে আয়ের উপর ১০ শতাংশ কর দিতে হবে।
  • ৯-১২ লক্ষ টাকার মধ্যে আয়ে ১৫ শতাংশ হারে।
  • ১২-১৫ লক্ষ টাকার মধ্যে আয় ২০ শতাংশ হারে।
  • ১৫ লক্ষ টাকা বা তার বেশি আয়ের উপর ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।

আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা না বাড়ালে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ও সঞ্চয় কোনওটিই বাড়বে না। সেক্ষেত্রে সামগ্রিক দেশের অর্থনীতি আবারও মুখ থুবড়ে পড়ার সম্ভাবনা। সঞ্চয় না বাড়লে হাউসিং বা নির্মাণ সেক্টরেরও উন্নতির সম্ভাবনা থাকছে না। লোকসভা ভোটের আগে মোদি সরকারের মন্দির, পর্যটনে দান খয়রাতি ও জি টোয়েন্টি বা বিদেশি অতিথি বরণে বাহুল্য করার খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

spot_img

Related articles

যোগীরাজ্যের পাঠ্যপুস্তকে বাদ কেন রবীন্দ্রনাথকে? সাংসদ ঋতব্রতর প্রশ্নে অস্বস্তিতে কেন্দ্র

উত্তরপ্রদেশের দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কি বাদ দেওয়া হয়েছে? তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নে স্পষ্টতই...

প্রয়াত সিপিএম নেতা-প্রাক্তন মন্ত্রী দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া

প্রয়াত সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া। বুধবার এনআরএস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।...

উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউয়ে ডাক মেলেনি! শীর্ষ আদালতে শান্তা দত্ত 

স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউ পর্বে ডাক পাননি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত। যোগ্য হয়েও তাঁকে সুযোগ দেওয়া...

১৫ দিনেই রেকর্ড সাফল্য! রাজ্যে সাড়া ফেলল ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি

মাত্র পনেরো দিনেই নজির গড়ল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন কর্মসূচি, ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’। রাজ্যের মানুষের হাতে উন্নয়নের...