নরেন্দ্রপুরের স্কুলে হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। একাধিকবার বার্তা দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু এখনও এফআইআরে নাম থাকা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে উচ্চ আদালত।ঘটনার পরই বলরামপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদকে ওই স্কুলে প্রবেশ না করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তাঁকে সাসপেন্ড করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এরপরই বৃহস্পতিবার স্কুলের প্রধান শিক্ষকের ঘর সিল করে দেওয়া হল।

নরেন্দ্রপুরে বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দির স্কুলে হামলার ঘটনায় কড়া পর্যবেক্ষণ ছিল হাইকোর্টের। ঘটনাটিতে প্রথম থেকেই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ঘটনার পর থেকে স্কুলে যাননি প্রধান শিক্ষক। এমনকী গত সোমবার মাধ্যমিক শুরুর আগেই এফআইআরে নাম থাকা সকল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। আর আদালতের কড়া পর্যবেক্ষণের পর তদন্ত চলাকালীন প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয় পর্ষদ। একইসঙ্গে বদলে দেওয়া হয়েছে মাধ্যমিকের সেন্টার-ইন-চার্জকেও। নরেন্দ্রপুরে স্কুলে হামলার ঘটনায় রিপোর্ট জমা দিয়েছেন ডিআই। সেই রিপোর্টকে মান্যতা দিয়ে আগেই প্রধান শিক্ষককে শোকজ করেছিল বোর্ড।
এদিকে শুক্রবার ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। কিন্তু প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে নরেন্দ্রপুরের স্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষার কে সুপারভাইজার হবেন, সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। সেক্ষেত্রে স্কুলের শিক্ষক শিবনাথ চাটুইকে সুপারভাইজার হিসেবে নিযুক্ত করার নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট।
