মিলল সবুজ সংকেত! ভারতকে প্রিডেটর ড্রোন বিক্রিতে সায় আমেরিকার, নেপথ্যে কোন অঙ্ক?

চিন (China) ও পাকিস্তান (Pakistan) সীমান্তে শত্রুদের মোকাবিলার জন্য এবার ভারতের হাতে আসতে চলেছে বিশেষ ড্রোন (Drone)। সূত্রের খবর, ৩১টি প্রিডেটর ড্রোন কিনতে ইতিমধ্যে আমেরিকার (USA) ছাড়পত্র পেয়েছে ভারত (India)। দীর্ঘদিন ধরেই এই ড্রোন কেনা নিয়ে দুই দেশের বিস্তর আলোচনা হলেও এতদিন কোনও আশার খবর শোনা যায়নি। অবশেষে বৃহস্পতিবার এই ড্রোন কেনা নিয়ে ভারতকে সবুজ সংকেত দিয়েছে জো বাইডেন (Joe Biden) প্রশাসন। আর অত্যাধুনিক এই ড্রোন হাতে এলে একদিকে যেমন শত্রু দেশের মোকাবিলার কাজ সহজ হবে ঠিক তেমনই অস্ত্রভাণ্ডারের দিক থেকে অন্যান্য দেশের তুলনায় কিছুটা হলেও এগিয়ে যাবে ভারত।

আমেরিকার ডিফেন্স সিকিউরিটি কোঅপারেশন এজেন্সির তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে এমকিউ-৯বি প্রিডেটর ড্রোন ছাড়াও আরও কিছু সামরিক সরঞ্জাম আমেরিকা থেকে কেনার আবেদন করেছিল ভারত। সব মিলিয়ে মোট ৩.৯৯ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম কিনতে চেয়েছিল ভারত। সব সরঞ্জাম বিক্রির ক্ষেত্রেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।  এদিকে এই প্রিডেটর ড্রোনগুলি হাতে পেলে চিন সীমান্ত থেকে অতল সমুদ্রে আরও তীক্ষ্ণ নজরদারি চালাতে পারবে ভারত। প্রয়োজনে প্রাণহানির আশঙ্কা ছাড়াই শত্রুপক্ষকে ঘায়েল করতে আরও কয়েক পা এগোবে ভারত। বুধবারই এমকিউ-৯বি ড্রোন প্রস্তুকারক জেনারেল অ্যাটমিক্সকে এই ছাড়পত্রের বিষয়ে জানানো হয়। এরপরই মার্কিন সংস্থাও ভারত সরকারকে তা জানিয়ে দেয়। আর এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করল মার্কিন প্রশাসন।

যদিও আমেরিকার থেকে এই ড্রোন কেনার বিষয়ে একেবারেই মুখে কুলুপ মোদি সরকারের। এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে সরকারের তরফে তেমন কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। তবে ওয়াশিংটন সূত্রে এই প্রিডেটর ড্রোন সংক্রান্ত চুক্তির কথা জানা গিয়েছে। মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদন আসার পর এই ড্রোন কিনতে কোনও বাধা থাকল না। ভারতের অস্ত্র ভাণ্ডারে এই ড্রোনের অন্তর্ভুক্তি যে কেবল সময়ের অপেক্ষা, তা বলাই বাহুল্য। তবে কয়েকদিন আগেই ৩০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি আটকে দিয়েছিল আমেরিকা! খলিস্তানি নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ ‘সঠিক’ তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত নাকি ভারতকে অত্যাধুনিক অস্ত্র বিক্রি করা হবে না, এমনটাই জানা গিয়েছিল মার্কিন সংবাদমাধ্যম সূত্রে। কিন্তু আচমকা এমন সিদ্ধান্তকে একেবারেই ছোট করে দেখছেন না রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

 

 

 

Previous articleপুঁথিগত শিক্ষার বাইরে ক্যুইজ প্রতিযোগিতার অভিনবত্ব, পথ দেখালো টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ!
Next articleসংসদে তিনটি ফৌজদারি বিল পাশের আগে পরামর্শ করা হয়েছে:অভিষেকের প্রশ্নের জবাব আইনমন্ত্রীর