Saturday, November 15, 2025

রাজ্যের পাওনা বকেয়ার দাবিতে কলকাতায় ধরনা কর্মসূচি পালন করছে তৃণমূল কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধীদের বিরুদ্ধে সুর চড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে এই প্রতিবাদী মঞ্চ। তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন সংগঠন পালা করে ধরনার মঞ্চে উপস্থিত থাকছেন। সেই মঞ্চ থেকেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ।তৃণমূলের ধরনা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
মূলত, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নাম ধরে ডাকা এবং তাঁর বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করা নিয়ে এদিন তীব্র প্রতিবাদ জানান কুণাল ঘোষ।উত্তেজিত হয়ে কুণাল বলেন, ‘আমাদের নেত্রী একবার অনুমতি দিন, কোনও রবীন্দ্র সঙ্গীত শোনানো হবে না, ওদের পিঠে ডিজে বাজানো হবে।’
এদিন কুণাল বলেন,বিজেপির সঙ্গে আমাদের নীতির লড়াই। যারা তৃণমূল কংগ্রেস থেকে সমস্ত সুযোগ সুবিধা নিয়ে সিবিআই থেকে বাঁচতে বিজেপির ছাতার তলায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে, গাদ্দারি করছে, আদি বিজেপিরা সেই কুকুরদের কখনো বিশ্বাস করবেন না।আমাদের নেত্রীকে আমাদের মাকে যে গদ্দার নাম ধরে রাখছে ভোটের রেজাল্টের পর বুঝে নেব।
চারপাশে যা ঘটছে, তাতে দু-একটা ভুল ত্রুটি হচ্ছে।এত বড় দল এত বড় সরকার, সেই ভুলত্রুটি আমরা শুধরে নিচ্ছি। যারা দোষী তারা শাস্তি পাচ্ছে। আইন আইনের পথে চলছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন যে জোট হচ্ছে না তৃণমূল একা লড়বে।তৃণমূল একাই লোকসভার ৪২ আসনে লড়বে।
সামনে লোকসভা নির্বাচন আমাদের অনেক শত্রু হাতে হাত মিলিয়েছে। এই বিজেপির পেছনে আছে সিপিএম। এই বিজেপি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে, মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ করে। অথচ আমরা বলি ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।দেশে এমন একটা সরকার তৈরি করতে হবে যে সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমাদের মন্ত্রীরা বারবার বাংলার মানুষের বকেয়া টাকা চেয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন। কিন্তু তারা দেখা তো করেইনি, উলটে আমাদের প্রতিদলকে হেনস্থা করেছে। বাংলার খেটে খাওয়া মানুষকে হেনস্থা। কেন্দ্রের নেতারা বারবার তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ দুর্নীতির অভিযোগ করেছে, বছরের পর বছর ধরে ইডি-সিবিআই তদন্ত করছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত একটাও দুর্নীতির প্রমাণ দিতে পেরেছে কি? কেন প্রমাণ দিতে পারল না এখনও? শুধু দুর্নীতির মিথ্যাচারে তৃণমূল সরকারকে ফাঁসাতে চাইছে। দুর্নীতির তালিকা উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, মহারাষ্ট্রের মতো বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে অনেক বেশি। তাও যেকোনো কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলোকে বরাদ্দের চেয়ে বেশি টাকা দিচ্ছে। কিন্তু বাংলাকে, বাংলার মানুষকে বঞ্চনা করা হচ্ছে কেন?

Related articles

রবীন্দ্র সরোবরের ছয় ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি: সম্পূর্ণ আইনি পথে কর্পোরেশন

প্রায় পাঁচ দশক পর রাবীন্দ্র সরোবর চত্বরে অবস্থিত ছ’টি ক্লাবের সঙ্গে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক ভাড়ার চুক্তি করল কলকাতা...

বিহারে কমিশনের কারচুপি, তোপ অখিলেশের: ঘুরিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ ওমরের

বিহারে এসআইআর প্রয়োগ করে ভোটারদের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কংগ্রেস-আরজেডির (RJD) মহাজোটের এটাই ছিল বিহার নির্বাচনের মূল...

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী কে: ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট JD(U)-এর!

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ২৪৩ টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৮৯ আসনে জয়ী। নীতীশ কুমারের জেডিইউ জিতেছে ৮৫ টি আসন।...

জাদুসম্রাটের বাড়িতে বিয়ের আসর! বিজ্ঞাপন দেখে পাত্র পছন্দ মৌবনীর

জিনা বন্দ্যোপাধ্যায় জনে জনে বার্তা রুটি গেল ক্রমে, বিয়ে করছেন মৌবনী শীতের মরশুমে! মেয়ের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন পিসি সরকার, সেখান থেকেই পাত্র...
Exit mobile version