পরিযায়ী ভোট পাখি লকেটকে প্রার্থী করা যাবে না! বিজেপির পোস্টারে ছয়লাপ শ্রীরামপুর

লকেট চট্টোপাধ্যায়কে শ্রীরামপুর লোকসভায় চাপিয়ে দেওয়া চলবে না! পোস্টার পড়ল বৈদ্যবাটি, শেওড়াফুলি ও শ্রীরামপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে

লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই বঙ্গ বিজেপির নিচুতলায় ক্ষোভের আগুন বাড়ছে। এবার সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল হুগলি জেলার শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রে। পোস্টারে সাফ কথা, লকেট চট্টোপাধ্যায়কে শ্রীরামপুর লোকসভায় চাপিয়ে দেওয়া চলবে না! পোস্টার পড়ল বৈদ্যবাটি, শেওড়াফুলি ও শ্রীরামপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে।

পোস্টারে লেখা হয়েছে, “কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে আবেদন বহিরাগত পরিযায়ী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে শ্রীরামপুর লোকসভায় চাপিয়ে দেওয়া চলবে না। তৃণমূলকে হারাতে শ্রীরামপুরের ভূমিপুত্র চাই।” এই কথার নীচে বন্ধনীতে লেখা হয়েছে, “দয়া করে কেউ আমাদের তৃণমূল বা কংগ্রেস বলবেন না, আমরা বিজেপি কর্মী।” শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের শেওড়াফুলি, বৈদ্যবাটি, শ্রীরামপুর সহ একাধিক জায়গায় দেখা গিয়েছে এমন পোস্টার।

কিন্তু আচমকা শ্রীরামপুর কেন্দ্রে লকেটকে নিয়ে এমন পোস্টার কেন বিজেপি কর্মি-সমর্থকদের? স্থানীয় স্তরে চর্চা শুরু হয়েছে কে কোথায় প্রার্থী হবেন তা নিয়ে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে হুগলিতে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেই হুগলির বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে এবার পোস্টার পড়ল শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রে। বিজেপির অন্দরে খবর, লকেটকে নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে। পাঁচ বছরে তাঁর টিকি খুঁজে পাননি এলাকার মানুষ। বিজেপির স্থানীয় নেটা-কর্মিদের সঙ্গেও সেভাবে যোগাযোগ রাখেননি লকেট। বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন দিল্লিতে কিংবা কলকাতার বাড়িতে। ফলে হুগলি থেকে লকেটকে ফের প্রার্থী করা হলে বিজেপি এই আসনটি নিশ্চিত ভাবে হারাবে। এরপরই জল্পনা শুরু হয় পাশের কেন্দ্র শ্রীরামপুর থেকে এবার টিকিট পেতে পারেন লকেট। তারপরই নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে বিদ্রোহ শুরু হয়। কোনও বহিরাগত পরিযায়ী ভোট পাখি নয়, প্রার্থী করতে হবে এলাকার কাউকে। তারই বহিঃপ্রকাশ এই পোস্টার বলে মনে করা হচ্ছে।

Previous articleঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল শাড়ির ‘জিআই’ তকমা বাংলা পাওয়ায় ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ উইপোয় যাচ্ছে
Next articleমধ্যরাতে নক্ষত্রলোকে শিশু সাহিত্যিক ভবানীপ্রসাদ মজুমদার!