ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল শাড়ির ‘জিআই’ তকমা বাংলা পাওয়ায় ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ উইপোয় যাচ্ছে

এ সব ক্ষেত্রে উইপো-র নির্দিষ্ট কমিটি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেয়।

ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল শাড়ির ‘জিআই’ তকমার জন্য জেনিভায় ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশন (উইপো)-এর কাছে আবেদন করে সম্প্রতি তা পেয়েছে ভারত। ঢাকার দাবি, ভারত তথা বাংলা নয়, টাঙ্গাইল শাড়ি তাদের পণ্য। কারণ, টাঙ্গাইলের ভৌগোলিক অবস্থান বাংলাদেশে।কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে বাংলাদেশও।
টাঙ্গাইলের শাড়ির জিআই বাংলাদেশের বলে দাবি শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদফতরের (ডিপিডিটি)।মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেছেন, প্রয়োজনে বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থার (ডাব্লিউআইপিও) মাধ্যমে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

রাষ্ট্রপুঞ্জের নিয়ম অনুসারে, একাধিক দেশ একই স্বত্বাধিকারের জন্য উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ সমেত উইপোয় আবেদন করতে পারে। এমনকি, প্রথমে অন্য দেশ করলে তার পর আর এক দেশও তা করতে পারে। এ সব ক্ষেত্রে উইপো-র নির্দিষ্ট কমিটি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেয়।

‘জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন রেজিস্ট্রি’র তথ্য বলছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হস্তশিল্প বিভাগ এর জন্য আবেদন করে ২০২০-র সেপ্টেম্বরে। টাঙ্গাইল শাড়িকে ধরা হয়েছে নদিয়া ও পূর্ব বর্ধমানের পণ্য হিসেবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের মোট জিআই পণ্যের সংখ্যা এখন ১৭। ২০২৩ সালে নিবন্ধিত জিআই পণ্য হল নাটোরের কাঁচাগোল্লা। বাংলাদেশের শীতলপাটি, রাজশাহি সিল্ক, রংপুরের শতরঞ্জি, কালিজিরা চাল, দিনাজপুরের কাটারীভোগ চাল এবং নেত্রকোনার সাদামাটি এই তালিকায় রয়েছে। এ ছাড়া বাগদা চিংড়ি, বগুড়ার দই, নবাবগঞ্জের ল্যাংড়া ও আশ্বিনা আমও রয়েছে।

Previous articleলাগাতার ধর্ষণ, গায়ে ঢালা হত গরম ডালও! দিল্লিতে চরম পরিণতি বাংলার যুবতীর
Next articleপরিযায়ী ভোট পাখি লকেটকে প্রার্থী করা যাবে না! বিজেপির পোস্টারে ছয়লাপ শ্রীরামপুর