যাঁরা ভাবেন ৪০ বছরের পর জীবনে আর কী নতুন করে শুরু করা যায়? যাঁরা মনে করেন ৩০ বছর পেরিয়ে গেলে আর কী পড়াশোনার বয়স থাকে? তাঁদের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবেন ডেভিড মার্জট। কিংস্টোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৯৫ বছর বয়সে গ্র্যাজুয়েট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণতম স্নাতকের সম্মানও পেলেন তিনি। এমনকি তিনি পাশাপাশি একটি পার্ট-টাইম ডক্টরেট করছেন যা শেষ হতে হতে ডেভিডের বয়স হবে ১০৩!

মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডেভিড মার্জট ডাক্তারি পাশ করার ৭২ বছর পরে নতুন করে স্নাতকে ভর্তি হন। ইউরোপীয়ান দর্শনের ওপর স্নাতক ডিগ্রি পান তিনি কিংস্টোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তবে কাজটা সহজ ছিল না, এমনটাই ডিগ্রি পাওয়ার পর বলছেন ডেভিড। কারণ এত বয়সে এসে স্মৃতি আর আগের মতো কাজ করে না। তাই পড়া মনে রেখে পরীক্ষায় পাশ করাটা রীতিমত চ্যালেঞ্জের। যদিও এরপরেও আরও একটি কোর্স করার কথা ভাবছেন তিনি।

সেই চ্যালেঞ্জটাই নিতে চেয়েছিলেন ডেভিড। বিবাহিত জীবনের ৬৫ বছর কাটিয়ে স্ত্রীর বিয়োগের পর অনেকটা একা হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জীবন যখন থেমে যায়নি, আরও জানার ইচ্ছা যখন ফুরিয়ে যায়নি তখন আবার চেষ্টা করতেও ভয় পাননি ডেভিড। স্নাতক হওয়ার পরে মনোরোগের ডাক্তার ডেভিড সবাইকেই বলছেন জীবনে চ্যালেঞ্জ নেওয়া কারোরই থামিয়ে দেওয়া উচিত না।

ডেভিডকে ছাত্র হিসাবে পেয়ে খুশি কিংস্টোনের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। তাঁদের দাবি বিভিন্ন বিভাগের পড়ুয়ারা যখন এক ক্লাসে পড়তে আসে তখন পড়ানোর মানও বেড়ে যায়। সেক্ষেত্রে বর্ষীয়ান ডেভিডের জ্ঞান তাঁদেরও কাজে লেগেছে। এর আগে ২০১৮ সালে ৯৫ বছর বয়সে স্নাতক হওয়ার রেকর্ড রয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইংল্যান্ডের জন ফিলিপ ট্রোয়ারের।

