মাউন্ট এভারেস্ট জয় করে কলকাতা পৌঁছালেন কলকাতার পুলিশ কমিশনারের দেহরক্ষী লক্ষীকান্ত মণ্ডল (Lakkhikanta Mandol)। লক্ষ্মীকান্তকে অভ্যর্থনা জানাতে শুক্রবার কলকাতা বিমান বন্দরে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীকান্তের মা-বাবা, কলকাতা পুলিশের (Kalkata Police) সিপি মনোজ বর্মা, বিধাননগর সিপি মুকেশ কুমার এবং কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। মনোজ বর্মা (Manoj Verma) জানান, লক্ষ্মীকান্ত কলকাতা পুলিশ তথা সারা বাংলার গর্ব। আগামী দিনে পুলিশ মহলেও বিরাট উৎসাহ জোগাবে। কলকাতা পুলিশের সিপি ও পুলিশ বাহিনীর সহযোগিতার জন্য অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানান লক্ষ্মীকাণ্ড (Lakkhikanta Mandol)।

পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের মাথুরি গ্রামের বাসিন্দা লক্ষীকান্ত। এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মাউন্ট এভারেস্ট (Mount Everest) সামিটে রওনা দেন তিনি। মাউন্ট এভারেস্টের ৮৮৪৮ মিটারের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয় করে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান এ আই ২৭৬৭ করে শুক্রবার কলকাতা ফেরেন তিনি। তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন মনোজ বর্মা, মুকেশ কুমার-সহ কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং কলকাতা পুলিশের বিশাল বাহিনী। সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে লক্ষ্মীকান্ত জানান, “আমার পর্বত আরোহণের ইচ্ছা বহুদিনের। তবে কয়েক বছর ধরে অনেক টালমাটালের পর শেষ পর্যন্ত যেতে পেরেছি। তার অন্যতম কারণ আমার স্যার (মনোজ কুমার বর্মা)। উনি না সাহায্য করলে এই স্বপ্ন আমি পূরণ করতে পারতাম না।” লক্ষ্মীকান্ত আরও জানান, এইখানেই তিনি থেমে যেতে চান না। কলকাতার সিপি-র সাহায্য পেলে ভবিষ্যতে তিনি আরও বড় সাফল্য অর্জন করতে পারবেন।
আরও খবর: শুক্র- শনিতে বন্ধ আন্দামানের আকাশপথ, নয়া ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পথে ভারত!

মনোজ বর্মা জানান, কলকাতা পুলিশ-সহ সারা বাংলার গর্ব লক্ষ্মীকান্ত। তাঁর কথায়, “কতটা সাহস কতটা ডিসিপ্লিন থাকলে, শারীরিক-মানসিক ফিটনেস থাকলে তারপর এমন সাফল্য আসা সম্ভব। গ্রাম থেকে উঠে এসে এরকম সাফল্য পেতে অনেক লড়াই প্রয়োজন। ও আমার কাছে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। আমি ওঁর ইচ্ছার কথা জেনেই সিকিমে ট্রেনিং-এর জন্য পাঠাই। ও ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যাক এটাই আমাদের কাম্য, কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে যা যা সাহায্য প্রয়োজন তা আমরা করবো।” কলকাতার সিপি বলেন, “ওঁর জয় কলকাতা পুলিশের জয়। এটা একটি নজির স্থাপন করল সমস্ত মানুষের কাছে। একই সঙ্গে আগামী দিনে পুলিশ মহলেও বিরাট উৎসাহ জোগাবে”।

–


–


–
–

–
–
–

–

–

–

–
