ফের বন্ধ হতে চলেছে ২৫ টি ওষুধ। চলতি মাসের ১৯ তারিখ রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল (drug control) বিভাগের তরফ থেকে রাজ্যের সমস্ত খুচরো ও পাইকারি ওষুধ বিক্রেতাদের কাছে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে। গুণমান পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে ৫১টি জীবনদায়ী ওষুধ (life saving drugs)। তার মধ্যে ২৪টি অত্যন্ত নিম্নমানের ও একটি সম্পূর্ণ ভেজাল (adulteration) ওষুধ বলে চিহ্নিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, আরও দু’টি ওষুধের প্যাকেজিংয়ে নকলের প্রমাণ মিলেছে।

এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল (West Bengal Drug Control) বিভাগ নির্দিষ্ট ব্যাচ নম্বরসহ মোট ২৫টি ওষুধ বাজার থেকে তুলে নিতে নির্দেশ দিয়েছে। খুচরো ও পাইকারি ওষুধ বিক্রেতাদের কাছে পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এই ওষুধগুলির বিক্রি বন্ধ করে সেগুলো ফেরত পাঠাতে হবে সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে। তালিকাভুক্ত ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছে বহুল ব্যবহৃত রিঙ্গার ল্যাকটেট, বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত ওষুধ, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি’র ঘাটতি পূরণে ব্যবহৃত ওষুধ, কোলেস্টেরল এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ওষুধ, এমনকি কৃমিনাশকও।

চিকিৎসক মহলের মতে, এই ধরনের ওষুধ রোগ নিরাময়ের বদলে রোগীর শারীরিক অবস্থা আরও জটিল করে তুলতে পারে। দীর্ঘদিন এই ধরণের ভেজাল (adulteration) ও নিম্নমানের ওষুধ সেবনে রোগীর মৃত্যুর ঝুঁকিও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, “এই ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের সুরক্ষা রক্ষায় আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ওষুধ উৎপাদক ও বিপণনকারী সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে।”

–


–


–
–

–
–
–

–

–

–

–
