পাকিস্তানে শুরু নির্বাচন, ‘আইনশৃঙ্খলা’ স্বাভাবিক রাখতে সকাল থেকেই বন্ধ মোবাইল পরিষেবা

আর্থিক সঙ্কটে বিপর্যস্ত দেশ। পাশাপাশি ‘গোদের উপর বিষফোঁড়া’র মতো একের পর এক সন্ত্রাসবাদী হামলা ঘটেই চলেছে। এমন আবহে বৃহস্পতিবার পড়শি দেশে শুরু হল সাধারণ নির্বাচন (General Election)। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানে (Pakistan) ১২ তম সাধারণ নির্বাচন। আগামী পাঁচ বছরের জন্য দেশ পরিচালনার জন্য সরকার নির্বাচনের কাজ শুরু সে দেশের জনগণের। সেই সঙ্গে নির্বাচিত হবেন দেশের চার প্রদেশের শাসক। পাকিস্তান সংসদের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির (National Assembly) পাশাপাশি বৃহস্পতিবার পাক পাঞ্জাব, সিন্ধু, খাইবার-পাখতুনখোয়া এবং বালুচিস্তানে প্রাদেশিক আইনসভার ভোটগ্রহণও হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের পরেই শুরু হবে গণনা। এদিন সকাল হতেই ভোটের লাইনে লম্বা লাইন। কোনোরকম সমস্যা এড়াতে সকাল সকাল বুথে ভোটাররা। এদিকে পাকিস্তানে ভোট শুরু হতেই মোবাইল পরিষেবা সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দিল সে দেশের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক। ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি’র কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তানে দীর্ঘ দিন ধরে চালু রয়েছে ‘এক দেশ এক ভোট’ ব্যবস্থা। পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে এখন মোট আসন ৩৩৬। কিন্তু তার মধ্যে ভোট হয় ২৬৬ আসনে। বাকি ৭০টি আসন মহিলা এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত। এর মধ্যে মহিলাদের জন্য ৬০ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য ১০ আসন সংরক্ষিত। তভে চলতি বছর মোট ১৬৭টি নথিভুক্ত রাজনৈতিক দল পাক নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৫হাজার ১২১। অন্যদিকে প্রাদেশিক আইনসভার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ১২ হাজার ৬৯৫ জন প্রার্থী। ৯০ হাজার ৬৭৫টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে এদিন ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ১২ কোটি ৭৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ।

তবে চলতি নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (PML) এবং প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (PPP)-র মধ্যে। ময়দানে রয়েছে কট্টরপন্থী জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম দলও। তবে ২০১৮-র নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়া পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (PTI)-এর স্বীকৃতি পাক নির্বাচন কমিশন বাতিল করায় তারা সরাসরি এবছর নির্বাচনী ময়দানে নেই। তবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা সাজাপ্রাপ্ত ইমরান এখন জেলবন্দি। এদিকে ২০১৮ সালের নির্বাচনে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির আসন সংখ্যা ছিল ৩৪২। এর মধ্যে ২৭২টিতে সরাসরি ভোট হয়েছিল। তার মধ্যে পিটিআই ১১৬, পিএমএলএন ৬৪, পিপিপি ৪৩ এবং নির্দল ও অন্য দলগুলির প্রার্থীরা ৪৯টি আসনে জয়ী হয়েছিলেন।

 

 

 

 

Previous articleবাড়তি বরাদ্দে নজর! কেন্দ্রের বঞ্চনা উপেক্ষা করে লক্ষ্মীবারই পেশ রাজ্য বাজেট
Next articleপশ্চিমী ঝঞ্ঝা সরতেই ফিরল শীত! রাজ্যে কতদিন ‘নিম্নমুখী’ পারদ? বড় আপডেট আলিপুরের