ফের অশান্ত সন্দেশখালি! পায়ের তলার মাটি হারিয়ে পুলিশকেই আক্রমণ BJP-CPIM সমর্থিত গ্রামবাসীদের

বুধবারের পর এবার বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই অশান্ত হয়ে উঠল উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি (Sandeskhali)। এদিন শাহজাহান শেখ (Sahjahan Seikh), শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে সন্দেশখালি থানার পার্শ্ববর্তী ত্রিমোহিনী এলাকায় চূড়ান্ত অসভ্যতা সিপিএম (CPIM), বিজেপি (BJP) কর্মী সমর্থকদের। সকালে হাতে লাঠি সোঁটা নিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তারা। যদিও পুলিশ (Police) তাঁদের বারবার আশ্বস্ত করলেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। উল্টে পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। যদিও এদিন পুলিশের তরফে বারবার অনুরোধ করলেও তাতে কর্ণপাত করেননি বিজেপি ও সিপিএম কর্মী সমর্থক ও তাঁদের পরিজনরা। এদিকে প্রথম থেকেই শাহজাহান শেখকে হন্যে হয়ে খুঁজছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি ও রাজ্য পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি তাঁর। পুলিশ সবরকমভাবে চেষ্টা চালালেও এখনও শাহজাহানের খোঁজ মেলেনি বলে অভিযোগ। আর এমন আবহে রাজ্য যখন সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তে উঠেপড়ে লেগেছেন তখনই ফের নতুন করে অশান্ত হয়ে উঠল সন্দেশখালি। ঘটনায় তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাত জানান, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে দলের কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচি সেরে ফেরার সময় দলের যে সমস্ত ছেলে যারা বিক্ষিপ্তভাবে ছিল, তাঁদের উপরেই চালান হয়েছে হামলা। তৃণমূলের ছেলেরাই আক্রান্ত হয়েছে। বিজেপি ও সিপিএম কর্মী সমর্থকদের বাড়ির মহিলারাই এদিন পথে নেমে চূড়ান্ত অসভ্যতা করছেন। হাত তোলা হয়েছে পুলিশের গায়েও।

সন্দেশখালিতে গত কয়েকদিন ধরে শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে জমি দখল করে নেওয়ার অভিযোগে বিক্ষোভ চলছে। এমনকী চাষের জমি দখল করে সেখানে নোনা জল ঢুকিয়ে মাঠের ভেরি বানানোরও অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীদের। গত কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তারা। এরপর বুধবার থেকে রাস্তায় নেমে এলাকা স্তব্ধ করার চেষ্টা করে বিজেপি, সিপিএম কর্মী সমর্থকরা। বুধবারই সন্দেশখালি ফেরিঘাটে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের জমায়েতের জন্য সন্দেশখালি ঘাটে শিবু হাজরার অনুগামীরা গ্রামবাসীদের উপরে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনায় স্থানীয়দের অভিযোগ, বোতলের আঘাতে ৩ জন জখম হয়েছেন।

এদিকে বুধবার রাতেই শাহজাহান ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরার অফিসে তাণ্ডব চালায় বিজেপি-সিপিএম সমর্থকরা। ভাঙচুরের পাশাপাশি তাঁর অফিস ও পোল্ট্রি ফার্মেও আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগও সামনে এসেছে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে পুলিশও একটি স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অন্যদিকে মারধর করা হয়েছে উত্তম সর্দারকেও। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।