Saturday, August 23, 2025

সংখ্যালঘুদের “ভোটব্যাঙ্ক” হিসেবে দেখতো বামেরা, রেড রোডের ধরনা মঞ্চ থেকে তো.প তৃণমূলের

Date:

বৃহস্পতিবার বিধায়ক তথা রাজ্য সভাপতি মোশারফ হোসেনের তত্ত্বাবধানে কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে ধরনা কর্মসূচীর সপ্তম দিনের দায়িত্ব পালন করল তৃণমূলের সংখ্যালঘু ও এসসি-এসটি সেল। বাংলার ২১ লক্ষ মানুষের প্রতি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বঞ্চনার পাশাপাশি ধরনামঞ্চে উঠে আসে বাম আমলে সংখ্যালঘু মানুষের প্রতি অত্যাচারের রক্তাক্ত স্মৃতি।

শিউলি সাহা বলেন, ৩৪ বছরের বাম রাজত্বে সংখ্যালঘুদের শুধু ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু রাজ্যের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী এই বাজেটে সবার মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। বিজেপি নেতারা এই বাজেট দেখে দিশাহীন হয়ে গিয়েছে। মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, সিপিএম-কংগ্রেসের আমলে ভোটের সময় সংখ্যালঘুদের শুধু উন্নয়নের ললিপপ দেখানো হয়েছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষকে নিজের আঁচল দিয়ে আগলে রেখেছেন। বিভিন্ন জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে হাজার হাজার সংখ্যালঘু মানুষ।

এদিন সামিল হন রেড রোডের ধরনা কর্মসূচীতে। ছিলেন সংখ্যালঘু মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি, বীরবাহা হাঁসদা, সাংসদ দোলা সেন, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, জয়প্রকাশ মজুমদার, বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়, অনিন্দ্য রাউত, জয়া দত্ত প্রমুখ। মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, সংখ্যালঘুদের জন্য সিপিএমের বাজেটে বরাদ্দ ছিল মাত্র ৪৫০ কোটি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজকের বাজেটে সংখ্যালঘুদের জন্য বরাদ্দ করেছেন সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা। বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় বলেন, যেভাবে ২০১১ সালে ৩৪ বছরের বাম রাজত্বের পতন ঘটিয়েছিল বাংলার মানুষ, সেভাবেই আবার চ্যালেঞ্জ নিচ্ছি ’২৪-এর ভোটে দিল্লি থেকে মুছে যাবে বিজেপি।

এদিন বিধানসভা অধিবেশন শেষে রেড রোডের ধরনামঞ্চে আসেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, মন্ত্রী তথা শহরের মেয়র ফিরহাদ হাকিম, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, শুভাশিস চক্রবর্তী, জাভেদ খান, স্বপন দেবনাথ, আব্দুল করিম চৌধুরী, সন্দীপ বক্সী। ফিরহাদ হাকিম বলেন, আদানি-অম্বানিদের জন্য ভাবার সময় আছে বিজেপির। কিন্তু বাংলার ২১ লক্ষ বঞ্চিতদের জন্য ভাবার সময় নেই ওঁদের। শুধু রামের নামে ভোট চাওয়া? মানুষ ওঁদের ভাঁওতাবাজি ধরে ফেলেছে। বাংলায় আমরা মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছি কারণ, আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বৃহস্পতিবার বাজেট অধিবেশন শেষে ধরনামঞ্চের সামনে দিয়েই ফেরেন মুখ্যমন্ত্রী। হাত নেড়ে রেড রোডে উপস্থিত মানুষের ভিড়কে আশ্বস্ত করেন। তাঁকে দেখেই ওঠে জয়ধ্বনি। সুব্রত বক্সি ঘোষণা করেন, দলনেত্রীর নির্দেশে সরস্বতী পুজো উপলক্ষে ১৩ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি বন্ধ থাকবে সমস্ত রাজ্য সরকারি দফতর। পাশাপাশি, ১২ ফেব্রুয়ারিই শেষ হবে রেড রোডের ধরনা কর্মসূচী।

আরও পড়ুন- ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পে কমছে সুদের হার, বাজেটে ঘোষণা অর্থ প্রতিমন্ত্রীর

 

 

Related articles

বাংলা দখলে প্রধানমন্ত্রীর ‘হতাশার আর্তনাদ’! ভিডিও দেখিয়ে তোপ তৃণমূলের

বাংলার মানুষকে দিনের পর দিন বঞ্চিত রেখে বাঙালির কাছেই ভোট ভিক্ষা! বাঙালিকে একের পর এক রাজ্যে হেনস্থা করে...

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...
Exit mobile version