Sunday, August 24, 2025

CAG-এর রিপোর্ট ঠিক নেই, তথ্য দিয়ে দাবি মুখ্যসচিবের

Date:

Share post:

বাম জমানার হিসাব গরমিলের দায় নেবে না বর্তমান সরকার, CAG রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর মুখ্যমন্ত্রী এমনটাই দাবি করেছিলেন। রিপোর্টে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আঙুল ওঠার পরই বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয় রাজ্য সরকারের তরফে। আর সেই বিস্তারিত রিপোর্ট আসতেই পরিষ্কার হয়ে যায় যাবতীয় কারচুপির ছবি। শুক্রবার সেই সব তথ্যপ্রমাণ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব (Chief Secretary) পি বি গোপালিকা দাবি করেন CAG রিপোর্ট ঠিক নেই।

সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিব দাবি করেন, CAG রিপোর্টে গরমিলের অভিযোগ আসার পরই রাজ্যের তরফ থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়। সেই রিপোর্টে সরকারের আটটি দফতরের গরমিলের তথ্য তুলে ধরা হয়। রাজ্য সরকার এরপরই আটটি দফতরের সব ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট (Utilisation Certificate) সংগ্রহ করে। মুখ্যসচিবের দাবি, আটটি দফতরই প্রতিটি কাজ সম্পূর্ণ করে এবং রিপোর্ট পাঠায় কেন্দ্র সরকারের কাছে। তার পরেই পরবর্তী বছরগুলিতে সেই দফতরের জন্য অর্থ মঞ্জুর (grant) করে কেন্দ্র সরকার। মুখ্যসচিবের দাবি, যদি কাজ অসম্পূর্ণ থাকে তাহলে পরবর্তী অর্থবর্ষের টাকা কীভাবে মঞ্জুর করে কেন্দ্র সরকার।

এই CAG রিপোর্টে ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটি টাকার গরমিলের অভিযোগ তোলা হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিবের দাবি, এই হিসাব কুড়ি বছরের দেখানো হয়েছে। তিনি বলেন CAG রিপোর্ট বিস্তারিত দেখলেই দেখা যাচ্ছে সেই রিপোর্ট ২০০২-০৩ থেকে আছে। অর্থাৎ ২০ বছরের রিপোর্ট যোগ করে এই রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। সেই কারণেই ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হচ্ছে। যে ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটি টাকার গরমিলের বিষয়টি ২০২১ সালের নয়, এটা ২০ বছরের হিসাব।

পাশাপাশি মুখ্যসচিব প্রশ্ন তোলেন এতদিন ধরে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা না হয়ে থাকলে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল কেন এত বছর ধরে রাজ্যে অডিটর জেনারেলকে কোনও নির্দেশ বা তথ্য দেননি। এমনকি প্রতিবছর কেন্দ্রের তদন্তকারী দল রাজ্যে এসে রিপোর্ট তৈরি করছে। চলতি অর্থবর্ষেও ৩৩৪টি কেন্দ্রীয় টিম রাজ্যে এসেছে। তারা মূলত পঞ্চায়েত নিয়ে তদন্ত করেছে। এছাড়াও স্বাস্থ্য, শিশু ও নারী কল্যাণ বিভাগ, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর (PHE), পুর ও নগরোন্নন দফতরে (UDMA) তদন্ত চালিয়েছে তাঁরা। অর্থাৎ লোকসভা ভোটের মুখে মিথ্যে দোষ চাপিয়ে রাজ্যের মুখে কালি মাখানোর চেষ্টা করা হয়েছে CAG রিপোর্টকে হাতিয়ার করেই।

spot_img

Related articles

ষোলেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...

ফলতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইলিশ উৎসব, পড়ুয়াদের জন্য পাতে ভাপা–ভাজা ইলিশ

বাজারে ইলিশের যা আগুন ছোঁয়া দাম তাতে উচ্চবিত্তদেরই পাতে ইলিশ জোটাতে হিমশিম খাওয়ার জোগাড়। কিন্তু সেই  দুর্মূল্যের বাজারেই...

আমেরিকায় চিঠি–পার্সেল পাঠানোয় বিধিনিষেধ, সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় ডাক বিভাগের 

ভারত–মার্কিন শুল্কযুদ্ধের জেরে এবার বড়সড় প্রভাব পড়ল ডাক পরিষেবায়। আমেরিকায় চিঠি ও পার্সেল পাঠানোর প্রক্রিয়ায় বিধিনিষেধ জারি করল...