সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের তল্লাশির সময় থেকে শুরু বিতর্ক। কখনও গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে ইডি আধিকারিকরা। কখনও পুলিশের ওপর চড়াও গ্রামবাসীরা। তবে শনিবার থেকে এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে শক্ত হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামে রাজ্য পুলিশ। যদিও রবিবার সকাল থেকে সারাদিন শান্ত সন্দেশখালির ছবিই ধরা পড়েছে। আর তিন দলের তিন নেতা পুলিশের জালে ধরা পড়তেই এলাকায় শান্তি ফেরার ছবি স্পষ্ট। পাশাপাশি পরিস্থিতি পরিদর্শনে সোমবার সন্দেশখালি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।

তৃণমূলের পক্ষ থেকে শনিবার মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দাবি করেন ওই এলাকায় তৃণমূলের সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে কোনও নেতা অন্যায় করেছে। সেই সুযোগে গ্রামের মানুষকে ইন্ধন দিচ্ছে সিপিআইএম ও বিজেপি। পুলিশি তদন্তে আশ্বাস রাখার কথা জানান মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। পাশাপাশি এলাকায় শান্তি ফেরাতে পুলিশকে সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয় রাজ্যের তরফে।
এরপরই প্রথমে গ্রেফতার হন তৃণমূল জেলা পরিষদ সদস্য উত্তম সর্দার। তাঁকে ১ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর রাতে গ্রেফতার বিজেপি নেতা বিকাশ সিং। অভিযোগ, এলাকায় অশান্তি ছড়াতে ইন্ধন জুগিয়েছিলেন। রবিবার কলকাতার বাঁশদ্রোণী এলাকা থেকে গ্রেফতার সন্দেশখালির প্রাক্তন সিপিআইএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দার। বামনেতারাও স্বীকার করেন তিনি এলাকায় মানুষকে নিয়ে পাল্টা সংগঠন তৈরির কাজ করছিলেন।

তিন নেতা গ্রেফতার হওয়ার পরই কার্যত দোকানপাট খুলে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে থাকে সন্দেশখালি। এলাকার স্কুলে পুলিশ ক্যাম্প করে নজরদারি জারি রাখে পুলিশ। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পর সোমবার রাজ্যপালের সন্দেশখালি যাওয়ার কথা জানানো হয় রাজভবনের তরফে। এর আগেও রাজ্যে কোনও কারণে কোথাও অশান্তির পরিবেশ তৈরি হলে সেখানে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন রাজ্যপাল। সন্দেশখালিতে অশান্তি ছড়ানোর পর পুলিশ ও মুখ্যসচিবকে সদর্থক পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছিলেন সি ভি আনন্দ বোস। রবিবার থেকে পরিস্থিতি শান্ত হলে পুলিশের সঙ্গে আলোচনার পরই সোমবার তাঁর সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায় রাজভবন।
