হৃদরোগে মৃত্যু হলেও কোভিড পজিটিভ রোগীকে আর্থিক ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিল্লি হাই কোর্টের

বিচারপতি সুব্রমনিয়াম প্রসাদ সাফ জানান, শুধুমাত্র হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হওয়া মানে এটা নয় যে কোনওভাবেই কোভিডের কারণে তাঁর শরীরে সমস্যা হয়নি বা তাঁকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে সাহায্য করেনি।

কোভিডে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি হলেও শেষরক্ষা হয়নি। কয়েকদিনের মধ্যেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। কিন্তু কোভিডে (Covid 19) মৃত্যু হলেও তাঁর পরিবার কোনও ক্ষতিপূরণ পায়নি বলে অভিযোগ। কারণ হাসপাতালের অভিযোগ কোভিড নয়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আর সেকারণেই কোনোরকম আর্থিক সহায়তা পাবে না ওই পরিবার। এমন কথা উঠতেই মামলা দায়ের হয় কোর্টে। আর সেই মামলায় দিল্লি হাই কোর্ট সাফ জানিয়ে দেয় মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ (Compensation) হিসাবে সরকারকে দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা।

এদিকে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার মামলার শুনানিতে হাই কোর্টে জানায়, ওই ব্যক্তি কোভিড নয়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। মারা যাওয়ার এক মাস আগে তাঁর আরটি-পিসিআর টেস্ট পজিটিভ আসে। সেকারণেই ওই ব্যক্তির পরিবার ‘মুখ্যমন্ত্রী কোভিড-১৯ পরিবার আর্থিক সহায়তা যোজনায়’ ক্ষতিপূরণ পাবেন না। কিন্তু আপ সরকারের সেই যুক্তি না মেনে হাই কোর্ট পাল্টা ওই ব্যক্তির হাসপাতালের ‘ডেথ সামারি’ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয়। আর তারপরই আসল তথ্য সামনে আসে আদালতের। এরপরই হাসপাতালের ডেথ সামারির তথ্য তুলে ধরে আদালত জানায়, ওই ব্যক্তি কোভিডে আক্রান্ত হয়েই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তারপর ২০২১ সালের ১৯ জুন মারা যাওয়া পর্যন্ত হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন তিনি। পাশাপাশি কোভিড-পরবর্তী সমস্যাতেও ভুগছিলেন দিল্লির বাসিন্দা ওই ব্যক্তি। আর সেকারণেই মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তাঁর শারীরিক অবস্থার কোনোরকম উন্নতি হয়নি। এরপর ২০২১ সালের ১৯ জুন তিনি মারা যান।

মামলার শুনানি চলাকালীন সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরেই বিচারপতি সুব্রমনিয়াম প্রসাদ সাফ জানান, শুধুমাত্র হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হওয়া মানে এটা নয় যে কোনওভাবেই কোভিডের কারণে তাঁর শরীরে সমস্যা হয়নি বা তাঁকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে সাহায্য করেনি। আর সেকারণেই মৃতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের নির্দেশ হাই কোর্টের।

 

Previous articleরেড রোডে তৃণমূলের ধর্নামঞ্চ থেকে বিজেপিকে বোল্ড আউট করার ডাক হাওড়ার নেতৃত্বের
Next articleদুই উস্কানিদাতা ধরা পড়তেই শান্ত সন্দেশখালি