রাজ্যে শূন্যপদ পূরণ নিয়ে বড় ঘোষণা, বিরোধীদের তুলোধনা মুখ্যমন্ত্রীর

প্রায় ৫ লক্ষ শূন্যপদ রয়েছে রাজ্য সরকারি চাকরিতে। ওই সব শূন্যপদ পূরণ করতে চান। সোমবার, আরামবাগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandapadhyay) জানান, ৫ লক্ষের মধ্যে শিক্ষকদের (Teacher) জন্য ১ লক্ষ শূন্যপদ রয়েছে। এ ছাড়াও ৬০ হাজার নিয়োগ করা হবে পুলিশে (Police)। তবে, এই বিষয় নিয়ে বিরোধীদের তুলোধনা করেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য সরকার নিয়োগ করতে গেলেই বাম-বিজেপি (Left-BJP) মামলা ঠুকে নিয়োগ আটকে দিচ্ছে।

রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা (Bhagabatiprasad Gopalika) সব দফতরের বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন। দফতর অনুযায়ী কোথায় কত শূন্যপদ আছে তার হিসেব চান তিনি। এর পরেই এদিন প্রশাসনিক সভা থেকে বিপুল নিয়োগের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “রাজ্য সরকারি চাকরিতে প্রায় ৫ লক্ষ শূন্যপদ রয়েছে। সরকার ওই শূন্যপদ পূরণ করতে চায়। এই ৫ লক্ষের মধ্যে ১ লক্ষ শূন্যপদ শিক্ষকদের জন্য। আর পুলিশে নিয়োগ করা হবে ৬০ হাজার।“ এরপরেই বিরোধীদের দিকে তোপ দেগে মমতা বলেন, “বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেসের জন্য নিয়োগ করা যাচ্ছে না। একটু মায়া হয় না। সাহস থাকলে ভোটে লড়ুন। আদালতে গিয়ে নিয়োগ আটকে দিচ্ছে। এটাও কিন্তু বড় দুর্নীতি। রেল, প্রতিরক্ষায় নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। আমরা চাই ছেলেমেয়েরা চাকরি পাক। সেটা ওরা চায় না। অন্যরা শুধু মুখে বলে, আমরা কাজ করে দেখাই। আদালতে যেতে কারও বাধা নেই। কিন্তু ওরা আদালতে যাচ্ছে আর মামলা করে চাকরি আটকে দিচ্ছে। তারপর বলছে, কেমন আটকে দিলাম।“

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “‌সব মিলিয়ে সরকারি চাকরিতে ৫ লক্ষ নিয়োগ হবে। বাংলার জন্য সব বন্ধ। রাজ্য পুলিশে ১২ হাজার কনস্টেবল নিয়োগের ব্যাপারে মন্ত্রিসভা নীতিগত সম্মতি দিয়েছে। সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্থির হয়েছে যে পঞ্চায়েত স্তরে প্রায় ৬ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে। আর রাজ্যের ফায়ার সার্ভিসেও প্রচুর নিয়োগ হবে।“

আরও পড়ুন: ‘থেকে গেলাম দিদির হাত ধরে’, আরামবাগে মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা দেবের

কেন্দ্রের সরকারের বঞ্চনা নিয়েও মঞ্চ থেকে তোপ দাগেন মমতা (Mamata Bandapadhyay)। বলেন, “‌১৫৫টি টিম পাঠিয়েছে। তারা গিয়ে রিপোর্ট দিয়েছে সব ঠিক আছে। তারপরও বকেয়া টাকা দেয়নি। বাংলার জন্য সব বন্ধ করে রেখেছে। ১০০ দিনের কাজের টাকা, রাস্তার টাকা, আবাসের টাকা এমনকী স্বাস্থ্য মিশনের টাকাও আটকে রেখেছে।“

কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার গরিব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, “তবে আমরা মিড ডে মিলের রাঁধুনিদের জন্য ৫০০ টাকা বাড়িয়েছি। তাঁরা মাসে পাবেন ২০০০ টাকা। গঙ্গাসাগরের উপর সেতু করবে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের উপর নির্ভর করে নয়। অনেকদিন অপেক্ষা করা হয়েছে। ৬টি ইকোনমি করিডর করছি। দিদিকে আবদার করবেন দিদি সব দেবে।“

Previous article‘সমুদ্রসাথী’ প্রকল্পের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে কুর্নিশ কুণালের
Next articleরামের পর কৃষ্ণ! ফেব্রুয়ারিতেই বাংলায় শাহ, মায়াপুর গিয়ে ধর্মীয় বিভাজনের চেষ্টা বিজেপির