সন্দেশখালির পরিস্থিতিকে গুরুত্ব দিয়ে কেরল সফর কাটছাঁট সোমবার উত্তপ্ত সন্দেশখালিতে উপস্থিত হলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বাংলার রাজ্যপালকে সামনে পেয়ে উত্তম সর্দার, শিবু হাজরাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন সেখানকার মহিলার। রাজ্যপালের পা জড়িয়ে অঝোরে কাঁদতে দেখা গেল সেখানকার মহিলাদের। জানালেন, “ওরা গ্রেফতার না হলে আমরা বাঁচতে পারব না। ফিরে এসে আরও ভয়াবহ অত্যাচার করবে ওরা।” গ্রামবাসীদের অভিযোগ শুনে তাঁদের আশ্বস্ত করে রাজ্যপাল জানালেন, “কথা দিচ্ছি, যাঁরা জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। আমার যা ক্ষমতা আছে, তা দিয়েই আমি ব্যবস্থা নেব।” পাশাপাশি রাজভবনে যোগাযোগ করার ফোন নম্বরও দেওয়া হয় মহিলাদের, যাতে কোনও সমস্যায় পড়লে তাঁরা জানাতে পারেন।

ধামাখালির পথে লঞ্চে করে সন্দেশখালিতে পা রাখেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল আসবে বলে এদিন সকাল থেকে রাস্তায় বসেছিলেন সন্দেশখালির মহিলারা। তাঁকে সামনে পেয়ে তাঁর হাতে রাখি পরিয়ে দেন এলাকার মহিলারা। রাজ্যপালের তরফে চকোলেট দেওয়া হয় তাঁদের। এরপর এলাকার শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারদের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করেন এলাকাবাসি। জানানো হয়, কীভাবে দিনের পর দিন অত্যাচার করা হয়েছে, তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে রাতের অন্ধকারে। রাজ্যপালের তরফে তাঁদের আশ্বস্ত করে জানানো হয়, “তোমরা চিন্তা করো না। ভয় পেয়ো না। আমি তোমাদের সঙ্গে আছি।” একইসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “আমি এমন কিছু শুননাম, যা কখনও শুনিনি। শিউরে ওঠার মতো ঘটনা ঘটেছে। চোখের জল বাধ মানে না। রবীন্দ্রনাথের জায়গায় এমন হতে পারে ভাবতেও পারছি না। সংবিধানে আওতায় আমার যেটুকু ক্ষমতা নিশ্চয়ই সাহায্য করব।” পাশাপাশি বলেন, “এটা কালী মায়ের মাটি, দুর্গা মায়ের মাটি, এখানে সমস্ত নারী নিরাপত্তা পাবেন।”