অশান্তির চেষ্টায় জল! ১৪৪ অমান্য করে সন্দেশখালি যেতেই আটক শুভেন্দু, ফ্লপ বামদের ‘বনধ রাজনীতি’

সোমবার সন্দেশখালি যান রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। পুরো পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখে তাঁরা রিপোর্ট পেশ করেছেন বলে খবর।

সময় যত গড়াচ্ছে বিরোধীদের একের পর এক গাজোয়ারির জেরে অশান্ত হয়ে উঠছে সন্দেশখালি (Sandeskhali)। রাজ্য পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নিলেও বিরোধীদের লাগাতার অসভ্যতার জেরে বারবার অশান্ত হয়ে উঠছে উত্তর চব্বিশ পরগণার এই কেন্দ্র। সোমবারই আরামবাগে (Arambag) সভা করতে যাওয়ার পথে এবং সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) স্পষ্ট জানান, সন্দেশখালির ঘটনায় যারা হিংসা ছড়িয়েছে তাদের গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে। তবুও নীতি, আদর্শ বিসর্জন দিয়ে শুধুমাত্র রাজ্যকে অশান্ত করার খেলায় মেতেছে বিরোধীরা। সোমবার সকাল থেকেই দফায় দফায় পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টায় ময়দানে বিজেপি (BJP) ও সিপিএম (CPIM)।

 

রবিবার সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরুপদ সর্দারের গ্রেফতারির প্রতিবাদে সোমবার ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দেয় সিপিএম। কিন্তু সিপিএম বনধ ডাকলেও কিছুই প্রভাব পড়েনি সেখানে। সকাল থেকেই দোকানপাট খোলা রয়েছে, রাস্তায় গাড়ির সংখ্যাও যথেষ্ট বেশি। কাজের সূত্রে রাস্তায় স্থানীয় বাসিন্দারা। সন্দেশখালির এক ও দু’ নম্বর ব্লকের সিপিএমের ডাকা বনধের কোনও প্রভাবই পড়েনি। এদিকে সোমবার সকাল সকাল কেরল সফর কাটছাঁট করে সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে ছুটে গেলেও স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে। সোমবার কেরল থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে পা রেখে সোজা সন্দেশখালির পথে রওনা হন রাজ্যপাল। কিন্তু মাঝপথে বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। একাধিক জায়গায় তাঁর কনভয় আটকে বাংলার বকেয়া মেটানোর দাবিতে চলে বিক্ষোভ। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। কিছু সময় পরই সন্দেশখালি পৌঁছন তিনি। তবে এদিন সন্দেশখালিতে রাজ্যপাল বোসের যাওয়া প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘যে যেখানে খুশি যেতেই পারেন।’’

অন্যদিকে, ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণে এদিন অশান্তির চেষ্টায় দলবল নিয়ে একেবারে বাসে চেপে শুভেন্দু অধিকারী সন্দেশখালির দিকে রওনা দিলেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। উল্টে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে আটকে দেওয়া হল শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপির বাকি বিধায়কদের। সন্দেশখালি থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার আগে বাসন্তী হাইওয়েতেই বিজেপি বিধায়কদের গাড়ি আটকে দিল পুলিশ। এরপরই আর কিছু করতে না পেরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিরোধী দলনেতা। এদিন সকালে বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন চলাকালীন কক্ষে ঢুকে চরম অসভ্যতার জন্য শুভেন্দু-সহ ৬ বিজেপি বিধায়ককে চলতি অধিবেশনে সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত নেন স্পিকার। এরপর সেখানেও কিছু করতে না পেরে প্রায় ৫০ বিধায়ক নিয়ে সন্দেশখালিকে অশান্ত করার চেষ্টায় রওনা দেন তিনি।

এদিকে সোমবার সন্দেশখালি যান রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান জানান, লীনা গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ‘মহিলাদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ ওঠায় কথা বলার জন্য আসা’। তিনি নিজে গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। পাশাপাশি এদিন পুরো পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখে তাঁরা রিপোর্ট পেশ করেছেন বলেও এদিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

 

 

 

 

Previous article“আমার সামর্থ্য মতো যা করার করব”, সন্দেশখালিকে আশ্বস্ত করলেন রাজ্যপাল
Next articleঅক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমন্ত্রণ, কথা বলবেন লন্ডন স্কুল অফ ইকনোমিক্সের পড়ুয়ারও: জানালেন মুখ্যমন্ত্রী