Thursday, December 4, 2025

অশান্তির চেষ্টায় জল! ১৪৪ অমান্য করে সন্দেশখালি যেতেই আটক শুভেন্দু, ফ্লপ বামদের ‘বনধ রাজনীতি’

Date:

Share post:

সময় যত গড়াচ্ছে বিরোধীদের একের পর এক গাজোয়ারির জেরে অশান্ত হয়ে উঠছে সন্দেশখালি (Sandeskhali)। রাজ্য পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নিলেও বিরোধীদের লাগাতার অসভ্যতার জেরে বারবার অশান্ত হয়ে উঠছে উত্তর চব্বিশ পরগণার এই কেন্দ্র। সোমবারই আরামবাগে (Arambag) সভা করতে যাওয়ার পথে এবং সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) স্পষ্ট জানান, সন্দেশখালির ঘটনায় যারা হিংসা ছড়িয়েছে তাদের গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে। তবুও নীতি, আদর্শ বিসর্জন দিয়ে শুধুমাত্র রাজ্যকে অশান্ত করার খেলায় মেতেছে বিরোধীরা। সোমবার সকাল থেকেই দফায় দফায় পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টায় ময়দানে বিজেপি (BJP) ও সিপিএম (CPIM)।

 

রবিবার সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরুপদ সর্দারের গ্রেফতারির প্রতিবাদে সোমবার ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দেয় সিপিএম। কিন্তু সিপিএম বনধ ডাকলেও কিছুই প্রভাব পড়েনি সেখানে। সকাল থেকেই দোকানপাট খোলা রয়েছে, রাস্তায় গাড়ির সংখ্যাও যথেষ্ট বেশি। কাজের সূত্রে রাস্তায় স্থানীয় বাসিন্দারা। সন্দেশখালির এক ও দু’ নম্বর ব্লকের সিপিএমের ডাকা বনধের কোনও প্রভাবই পড়েনি। এদিকে সোমবার সকাল সকাল কেরল সফর কাটছাঁট করে সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে ছুটে গেলেও স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে। সোমবার কেরল থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে পা রেখে সোজা সন্দেশখালির পথে রওনা হন রাজ্যপাল। কিন্তু মাঝপথে বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। একাধিক জায়গায় তাঁর কনভয় আটকে বাংলার বকেয়া মেটানোর দাবিতে চলে বিক্ষোভ। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। কিছু সময় পরই সন্দেশখালি পৌঁছন তিনি। তবে এদিন সন্দেশখালিতে রাজ্যপাল বোসের যাওয়া প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘যে যেখানে খুশি যেতেই পারেন।’’

অন্যদিকে, ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণে এদিন অশান্তির চেষ্টায় দলবল নিয়ে একেবারে বাসে চেপে শুভেন্দু অধিকারী সন্দেশখালির দিকে রওনা দিলেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। উল্টে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে আটকে দেওয়া হল শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপির বাকি বিধায়কদের। সন্দেশখালি থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার আগে বাসন্তী হাইওয়েতেই বিজেপি বিধায়কদের গাড়ি আটকে দিল পুলিশ। এরপরই আর কিছু করতে না পেরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিরোধী দলনেতা। এদিন সকালে বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন চলাকালীন কক্ষে ঢুকে চরম অসভ্যতার জন্য শুভেন্দু-সহ ৬ বিজেপি বিধায়ককে চলতি অধিবেশনে সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত নেন স্পিকার। এরপর সেখানেও কিছু করতে না পেরে প্রায় ৫০ বিধায়ক নিয়ে সন্দেশখালিকে অশান্ত করার চেষ্টায় রওনা দেন তিনি।

এদিকে সোমবার সন্দেশখালি যান রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান জানান, লীনা গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ‘মহিলাদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ ওঠায় কথা বলার জন্য আসা’। তিনি নিজে গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। পাশাপাশি এদিন পুরো পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখে তাঁরা রিপোর্ট পেশ করেছেন বলেও এদিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

 

 

 

 

spot_img

Related articles

শিক্ষামন্ত্রী না থাকলে বিজয়ের গোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব হত না: কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পর্ষদ সভাপতির

রাজনৈতিক অভিসন্ধি থেকে যে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, তা প্রমাণ...

রাস্তা তৈরি থেকে অন্যান্য পরিষেবা কেমন চলছে? নজরদারিতে বিরাট সিদ্ধান্ত নবান্নের

রাজ্যে উন্নয়নের গতি কোনওভাবেই যেন থেমে না যায়, সদা তৎপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচন কমিশনের চাপিয়ে দেওয়া এসআইআর...

বৃহস্পতিবার লক্ষাধিক জমায়েত: দলনেত্রীর সম্প্রীতির বার্তা শুনতে অপেক্ষায় বহরমপুর

রাজ্যে এসআইআর পরিস্থিতি ও বিজেপির ক্রমাগত উস্কানির রাজনীতির মধ্যেই জেলা সফরে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার...

আর জি কর মামলার তদন্ত শেষ, সমন পাঠানোর নির্দেশ আখতার আলিকে

আর জি কর হাসপাতালের মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে বলে বুধবার আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতকে জানাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা...