১ মার্চ মিলবে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের বকেয়া! স্বচ্ছতা বজায় রাখতে জারি সতর্কতা

১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে কেন্দ্রের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিতদের মজুরির টাকা রাজ্য সরকার আগামী ১ লা মার্চ মিটিয়ে দেবে বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। ওই দিন ২৪ লক্ষ ৫০ হাজারেরও বেশি ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট মারফত টাকা দেওয়া হবে। এজন্য প্রায় আট হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ করা হবে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে।

টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বচ্ছ রাখতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ না ওঠে তা দেখতে রাজ্য সরকার জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে। এই উদ্দ্যেশ্যে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর একটি এসওপি জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে একশ দিনের মজুরি প্রাপকদের তালিকা প্রকাশ্যে টাঙিয়ে দেওয়া হবে। কারা কত টাকা পাচ্ছেন ঠিকানা সহ তা ওই তালিকায় উল্লেখ করতে হবে। পাশাপাশি এই বিষয়ে নজরদারী এবং মানুষের প্রশ্ন ও অভাব অভিযোগ নীরসনে ব্লক স্তরথেকে রাজ্য স্তর পর্যন্ত কন্ট্রোলরুম চালু করতে বলা হয়েছে। জেলা স্তরে স্বয়ং জেলাশাসক ও অন্যান্য স্তরে পদস্থ আধিকরাকিরা কন্ট্রোল রুমগুলির দায়িত্বে থাকবেন। রাজ্য সরকার কিভাবে একশ দিনের কাজের বঞ্চিত শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছে সাধারণ মানুষের কাছে তা তুলে ধরতে ব্যপক প্রচারেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েতে এই তালিকা সম্বলিত ন্যূনতম ১০০টি হোর্ডিং লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। টাকা বিলি করার পর প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজের উপভোক্তাদের নিয়ে সচেতনতামূলক বৈঠক করতে বলা হয়েছে। ১ মার্চ টাকা পাওয়ার পর ২ এবং ৩রা মার্চ গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে এই বৈঠকগুলি করতে হবে। যেখানে রাজ্য সরকারই যে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া মজুরির পুরোটা মেটাচ্ছে সেকথা তুলে ধরা হবে। এছাড়া বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদেরও এই প্রচারের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এসওপি-তে বলা হয়েছে, স্বনির্ভর গোষ্ঠাীর সদস্যদের দল তৈরি করে প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকদের বাড়িতে প্রচারের জন্য পাঠাতে হবে । এছাড়া জেলায় জেলায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল যায়গায় একশ দিনের কাজে রাজ্যের অবদানের কথা তুলে ধরে হোর্ডিং, ব্যানার,ফ্লেক্স লাগাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকাগুলিতে মাইকিং ও লিফলেট বিলি করতে হবে। বর্ণময় ট্যাবলো তৈরি করেও প্রচার করা হবে। যেদিন টাকা দেওয়া হবে রাজ্য সরকারই যে তাদের বকেয়া টাকা দিচ্ছে এই মর্মে প্রত্যেক উপভোক্তাদের কাছে এসএমএস পাঠানো হবে। এছড়া সামাজিক মাধ্যমেও এর ঢালাও প্রচার করতে জেলা গুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন- জেলায় জেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন! রিপোর্ট চাইল নির্বাচন কমিশন

Previous articleদায়িত্ব থেকে অব্যাহতি! জ্যোতিপ্রিয়র হাতে থাকা দুটি দফতর পার্থ-বীরবাহাকে
Next articleআগামিকাল বাগানের সামনে নর্থইস্ট, প্রতিপক্ষকে সমীহ হাবাসের