ভার্চুয়াল বৈঠক থেকেই তৃণমূলের কর্মসূচি ঘোষণা অভিষেকের

আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সব ব্লকে হবে সহায়তা শিবির। সব গ্রাম পঞ্চায়েতে করবেন সহায়তা শিবির। পূর্ণাঙ্গ অঞ্চল কমিটি তথ্য সংগ্রহ করবেন। এই শিবির আগামী ২৫ তারিখ পর্যন্ত হবে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা, এই আট ঘন্টা শিবির চলবে।

দলের সাংসদ, বিধায়ক, ব্লক সভাপতি সহ নেতৃত্বকে নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এদিন ১০০ দিনের কাজ থেকে শুরু করে আবাস যোজনার বকেয়া টাকা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ এনে কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন অভিষেক৷ তিনি দলীয় সাংসদ-বিধায়কদের নির্দেশ দেন, ‘‘আর অপেক্ষা নয়। রাস্তায় নেমে পড়তে হবে। আমাদের অভিজ্ঞতা মানুষকে বলতে হবে। এক কাপ চা-বিস্কুট খেয়ে বসে মানুষকে বলুন। বিধায়করা ক্যাম্পে যাওয়ার পাশাপাশি ব্লক সভাপতিদের সঙ্গে কথা বলুন। যেখানে বিধায়ক নেই, সেখানে ব্লক সভাপতিরা দায়িত্ব নেবেন।’’

ভবিষ্যত আন্দোলনের জন্য নতুন নতুন মুখ তুলে আনতে চাইছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এদিন ভার্চুয়াল বৈঠকে শাসকদলের নেতা কর্মীদের একাধিক নির্দেশ দিতে দেখা যায় অভিষেককে৷ তিনি বলেন, ‘‘দু’জন মাদার, একজন যুব, একজন মহিলা কর্মীর নাম সব বুথ থেকে বিধায়কেরা আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাঠাবেন দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে। এরাই আগামিদিনে সব কর্মসূচিতে সৈনিক হিসাবে কাজ করবে।’’

আগামী ৫ দিনের মধ্যে দলের সমস্ত বিধায়ককে তাঁর বিধানসভা এলাকার ১০ জন তপশিলি জাতি, ৫ তপশিলি উপজাতি মানুষের নাম পাঠাতে হবে। এমন নাম পাঠাবেন যাঁদের এলাকায় গ্রহণযোগ্যতা, প্রভাব আছে। মানুষ যাঁদের চেনে। যাঁরা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত। তাঁদের নাম পাঠাবেন। দল এই ১৫ জনকে ভবিষ্যতে কাজে লাগাবে। এসসি, এসটিরদের ওপর বিজেপির যে অত্যাচার, লাঞ্ছনা, অপমান, তা বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরবেন এরা। কোনও নেতার কাছের লোক হলেই হবে না। নাম যাচাই করবে দল।

আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সব ব্লকে হবে সহায়তা শিবির। সব গ্রাম পঞ্চায়েতে করবেন সহায়তা শিবির। পূর্ণাঙ্গ অঞ্চল কমিটি তথ্য সংগ্রহ করবেন। এই শিবির আগামী ২৫ তারিখ পর্যন্ত হবে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা, এই আট ঘন্টা শিবির চলবে। একটা ফর্ম দেওয়া হবে। সেটা আপনারা পূরণ করবেন। সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাতে তুলে দেওয়া হবে।

সাংসদদের তার বিধানসভার ৫’টা করে ক্যাম্প পরিদর্শন করতেই হবে। ব্লক, অঞ্চলে কথা বলে ২৪ ঘণ্টায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। গায়ের জোরে কিভাবে টাকা আটকানো হয়েছে এটা জনসংযোগে করতে হবে। বিধায়ক-সাংসদ এক সঙ্গে হলে আরও ভাল।

১০০দিনের বকেয়া মেটানোর দাবি নিয়ে বীরবাহা হাঁসদা, মহুয়া মৈত্রকে দিল্লিতে কী ভাবে নিগৃহীত করা হয়েছে তা সকলেই দেখেছেন। সাংসদ, বিধায়কদের নির্দেশ দিয়ে অভিষেক বলেন, এটা নিয়ে ঢালাও প্রচার করুন। সাংসদের ক্ষেত্রে সুদীপ বন্দোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও’ব্রায়ানকে এই দায়িত্ব নেবেন। আর বিধায়কদের শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় দায়িত্ব নিয়ে বলবেন।

এদিন লোকসভার আগে দলীয় স্লোগানও বেঁধে দেন তৃণমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। “জমিদারি হটাও, বাংলা বাঁচাও”!

Previous articleজমিদারি হটাও, বাংলা বাঁচাও: স্লোগান বেঁধে এখনই পথে নেমে লড়াইয়ের নির্দেশ অভিষেকের
Next articleকোটি কোটি কালো টাকার উৎস কী? বিজেপির বিরুদ্ধে ইডি তদন্তের দাবি উদ্ধবের শিবসেনার