আজ কী ঘটেছিল জানেন?

রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্র(১৮২২-১৮৯১) এদিন পূর্ব কলকাতার অন্তর্গত বেলেঘাটার শুঁড়া অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। বিজ্ঞানসম্মত ইতিহাসচর্চার অন্যতম পথিকৃৎ, পুরাতত্ত্ববিদ, সমালোচক ও প্রাবন্ধিক। মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। এখানে মেধা ও প্রতিভার পরিচয় দিলেও কয়েকজন ইংরেজের সঙ্গে বিবাদের ফলে কলেজ ত্যাগ করেন। এরপর আইন ও ভাষা শিখতে আরম্ভ করেন এবং হিন্দি, ফারসি, সংস্কৃত ও উর্দু ভাষায় প্রগাঢ় জ্ঞান অর্জন করেন। এশিয়াটিক সোসাইটির সহকারী সম্পাদক ও গ্রন্থাগারিক নিযুক্ত হন। কখনও সহ-সভাপতি, কখনও সম্পাদক এবং সবশেষে প্রথম ভারতীয় সভাপতিরূপে তিনি আমৃত্যু এশিয়াটিক সোসাইটির সঙ্গে যুক্ত থেকে কাজ করেছেন। সরকার কর্তৃক ওয়ার্ড ইনস্টিটিউশনের ডিরেক্টর নিযুক্ত হওয়ায় তিনি সহ-সম্পাদকের সবেতন পদ ত্যাগ করেন। ম্যাক্সমুলারের মতে, রাজেন্দ্রলাল তাঁর জীবিতাবস্থায় ভারততত্ত্বের সর্বশ্রেষ্ঠ পণ্ডিত ছিলেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে এবং কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়কে সর্বপ্রথম সম্মানসূচক ‘ডক্টর অফ ল’ উপাধি প্রদান করেন। বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশ কর্তৃক তিনি মোট ১০টি সম্মানে ভূষিত হন। ইংরেজ সরকার তাঁকে রায়বাহাদুর, সিআইই ও রাজা উপাধি দেয়। রবীন্দ্রনাথ লেখেন, ‘…রাজেন্দ্রলাল মিত্র সব্যসাচী ছিলেন।…তিনি একাই একটা সভা’।

১৯৫৬ মেঘনাদ সাহা (১৮৯৩-১৯৫৬) এদিন পরলোকগমন করেন। স্বনামধন্য পদার্থবিদ। স্বয়ং আইনস্টাইন তাঁর সম্পর্কে বলেছিলেন, “Dr. M. N. Saha has won an honoured name…”। ১৯২০-এর দশকে নক্ষত্রের বর্ণালী বিশ্লেষণে তাপীয় আয়নীকরণ তত্ত্বে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। স্বাধীনতা আন্দোলনে সশস্ত্র বিপ্লবে জড়িয়েছিলেন। বিজ্ঞানমনস্কতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য নিরন্তর কাজ করে গিয়েছেন। লোকসভার সদস্য ছিলেন। দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে পরিকল্পনা কমিশনের সভায় যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

দাদাসাহেব ফালকে (১৮৭০-১৯৪৪) এদিন শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আসল নাম ধুন্ডিরাজ গোবিন্দ ফালকে। ভারতীয় চলচ্চিত্রের জনক। ১৯১৩-তে মুক্তিপ্রাপ্ত তাঁর তৈরি ‘রাজা হরিশ্চন্দ্র’ ছবিটি ভারতের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য নির্বাক চলচ্চিত্র। এরপর তিনি প্রায় চব্বিশ বছর ধরে ৯৫টি পূর্ণদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র ও ২৬টি স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।

হাওয়ার্ড কার্টার এদিন তুতানখামেনের সমাধিতে প্রথম প্রবেশ করেন। মিশরের ফারাও তুতেনখামেন। তাঁকে নিয়ে রহস্যের অন্ত নেই। ৩ হাজারেরও বেশি বছর আগে এই বালক ফারাওয়ের মৃত্যু হয়েছিল। হাওয়ার্ড কার্টার ব্রিটেনের প্রত্নতত্ত্ববিদ। সত্যিই কি ১৯২২ সালে ওই মমিটি উদ্ধারের পরে সেই খননকার্যের সঙ্গে যুক্তদের রহস্যময় মৃত্যুর পিছনে ছিল অভিশাপ? এ নিয়ে নানা ব্যাখ্যা রয়েছে। লেখা হয়েছে বহু বই। কেবল অভিশাপই নয়, বালক রাজা তুতেনখামেনকে নিয়েও প্রত্নতত্ত্ববিদদের আগ্রহের শেষ নেই।

এদিন পরলোক গমন করেন রাষ্ট্রসংঘের ষষ্ঠ মহাসচিব। মিশরের নাগরিক ঘালি ছিলেন প্রথম আরব ব্যক্তি যিনি রাষ্ট্রসংঘের উচ্চপদে আসীন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিলেন। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ঘালি জাতিসংঘের মহাসচিব ছিলেন। মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও দক্ষ কূটনীতিক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। সোমালিয়া, রুয়ান্ডা, মধ্যপ্রাচ্য ও পূর্বতন যুগোস্লাভিয়ার সংকটকালে তিনি জাতিসংঘের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এই সময়কালকে রাষ্ট্রসংঘের অন্যতম কঠিন সময় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিভিন্ন মতবিরোধের কারণে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘালির সম্পর্কের অবনতি হয়। মার্কিন বিরোধিতার কারণেই দ্বিতীয় দফায় মহাসচিব হতে পারেননি তিনি।

Previous articleইলেক্টোরাল বন্ডে সব দলের মিলিত আয়ের প্রায় দেড়গুণ শুধু বিজেপির!
Next articleঅশ্বিনের ভুলে ব্যাট করতে নামার আগেই ৫ রান পেল ইংল্যান্ড