লোকসভা ভোটেও ভরসা ইডি! তল্লাশির নামে বিরোধীদের নাস্তানাবুদ করতে নয়া চাল মোদি সরকারের

সামনেই লোকসভা নির্বাচন (Loksabha  Election)। তার আগেই বড় সিদ্ধান্ত জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India)। লোকসভা ভোটের নজরদারিতেও এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির (Enforcement Directorate) আধিকারিকদের ব্যবহার করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। ইতিমধ্যে কমিশনের পক্ষ থেকে রাজ্যগুলিকে চিঠি পাঠিয়ে সেকথা স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভোটের জন্য জেলায় জেলায় ইন্টেলিজেন্স কমিটি (Intelligence Committee) গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন। আর সেকারণেই ইডির প্রতিনিধিদের সেই কমিটিতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে বাংলার ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ নজিরবিহীন। আর মোদি সরকারের এমন পদক্ষেপের পরই চরম সমালোচনায় সরব বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, এভাবে জোর করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ভোটের কাজে লাগিয়ে বিরোধী নেতা নেত্রীদের হেনস্থার এক নয়া প্ল্যান মোদির। তবে এসব করে আখেরে যে লাভের লাভ হবে না তা সাফ জানানো হয়েছে।

ভোটের সময় ভোটারদের প্রভাবিত করতে নগদ টাকা বিলির অভিযোগ ওঠে। তা খতিয়ে দেখার জন্য ভোটের আগে জেলায় জেলায় ইন্টেলিজেন্স কমিটি গড়ে দেয় কমিশন। তাতে রাজ্য এবং কেন্দ্রের বিভিন্ন তদন্তকারী আধিকারিকরা থাকেন। তবে বাংলার ভোটে এই ইন্টেলিজেন্স কমিটিতে ইডির আধিকারিকদের অন্তর্ভুক্ত করার ঘটনা নজিরবিহীন। ফলে বিষয়টিকে যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। কমিশনের সাফাই, অর্থনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর এলাকাগুলি চিহ্নিত করে সেখানে ঘন ঘন তল্লাশি চালাবে ইডি। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট এলা্কাগুলিতে বাড়ানো হবে কমিশনের ফ্লাইং স্কোয়াডও।

মূলত বাংলায় ধর্মের রাজনীতি করতে অপারগ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে লোকসভা ভোট আসতেই নিজেদের ক্ষমতাবলে জোর করে বিরোধীদের শুধুমাত্র হেনস্থা করার জন্যই এমন কলকাঠি মোদি নেড়েছেন বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

Previous articleকর্তারপুর সীমানায় অস্ত্র! আন্দোলনকারী কৃষকদের ‘উস্কানি’ পান্নুনের
Next articleকড়া অবস্থান মুখ্যমন্ত্রীর, সন্দেশখালিকাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করার নির্দেশ পুলিশকে