কমল নাথের পর মণীশ তেওয়ারি? কংগ্রেসনেতাদের বিজেপি যোগের সম্ভাবনায় সত্যতা কতটা?

মণীশ তেওয়ারির বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জল্পনা তৈরি হতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দেশের রাজনীতিতে কংগ্রেসের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে। আর সেই প্রশ্ন এমন একটা সময় উঠছে যখন লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হতে হাতে গোনা দিন বাকি।

শনিবার বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কমল নাথ। রবিবার আরেক নির্ভরযোগ্য নেতা মণীশ তেওয়ারির বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জল্পনা তৈরি হতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দেশের রাজনীতিতে কংগ্রেসের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে। আর সেই প্রশ্ন এমন একটা সময় উঠছে যখন লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হতে হাতে গোনা দিন বাকি। যদিও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে কমলনাথ বা মণীশ তেওয়ারি দুজনের নামে বিজেপিতে যোগদানের যে জল্পনা উঠেছে তা পুরোপুরি গুজব। রাজনীতিকরা মনে করছেন ভোটের আগে কংগ্রেসের মনোবল ভাঙার জন্য এই ধরনের প্রচার চালাচ্ছে শাসকদল।

শনিবার দিল্লি যান মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ ও তাঁর ছেলে সাংসদ নকুল নাথ। তার উপর নকুল নিজের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে কংগ্রেসের নাম উড়িয়ে দেওয়ায় ‘ইন্দিরার তৃতীয় পুত্রের’ বিজেপি যোগদানের জল্পনা বেশ খানিকটা হাওয়া পায়। কমল নাথ বিজেপি নেতৃত্বর সঙ্গে কথা বলছেন এবং সেই উদ্দেশ্যেই তাঁর দিল্লি সফর, এমনটাও প্রচার হয়। বিভিন্ন এলাকা থেকে বিজেপি নেতারাও কংগ্রেসে বড় ভাঙনের ঘোষণা করতে থাকেন। যদিও কমল নাথ স্পষ্ট জানান, তিনি নিজে কারো সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। পাশাপাশি বিজেপিতে যোগদানের প্রশ্ন এলে মিডিয়াকে ডেকে জানানোর কথাও জানান।

তবে কমল নাথ বিজেপির কারো সঙ্গে কথা বলেননি, এমন বক্তব্য দেওয়ার পরই নতুন করে ধুঁয়ো ওঠে কংগ্রেসের আনন্দপুর সাহিব এলাকার সাংসদ ও অতিপরিচিত মুখ মণীশ তেওয়ারির বিজেপিতে যোগদানের। কোনও ভিত্তি না থাকলেও মণীশ ঘনিষ্ঠ মহলে বিজেপির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, এমন বিবৃতি ঘুরতে থাকে সংবাদ মাধ্যমে। রবিবার বিকাল পর্যন্ত মণীশ তেওয়ারির পক্ষ থেকে কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি। তবে কংগ্রেস ও মণীশ তেওয়ারির দফতর থেকে জানানো হয় তাঁর বিজেপির সঙ্গে কথাবার্তার যে প্রচার চালানো হচ্ছে তা ভিত্তিহীন ও অমূলক।

একদিকে যখন বিজেপির জাতীয় সম্মেলন চলছে সেই সময় হঠাৎই কংগ্রেস নেতাদের বিজেপি যোগদানের সম্ভাবনার খবর প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। গত কয়েক মাসে মহারাষ্ট্র থেকে কংগ্রেস নেতারা যেভাবে বিজেপিতে পাড়ি দেওয়ার হিড়িক ফেলে দিয়েছেন তাতে কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতাদের সম্ভাবনার কথা বারবার বিচলিত করছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডকে। আর লোকসভা ভোটের আগে তাতে আখেরে লাভ যে বিজেপির তা বলাই বাহুল্য।

Previous articleকোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ! জামিন পেলেন পরিচালক রাজকুমার সন্তোষী
Next articleদোষ করলে রেয়াত নয়: সন্দেশখালিতে বার্তা তৃণমূল নেতৃত্বের, শিবুর জায়গায় দায়িত্বে সুকুমার